আয় ফিরে আয়


আয় ফিরে আয়




আষাঢ়ও শ্রাবনও ঘন বর্ষায়
তব চরনের মলে এখনও কি
বিজলি এসে চমকায়...?
মোর কি পরে মনে এই তমসায়..?
মনে কি পরে তব সেই দিন গুলি হায়
মোরে তো ডাকিয়া কহে শুধু ,
ওরে আয় ফিরে আয়.........!
মাঠ,ঘাট ধান ক্ষেত মারি
সর্বাঙ্গে কাদা মাটি মাখি
ছুটিয়া আসিতাম তব বাড়ি
মাথায় লইয়া এক রাশ বারি....
মনে কি পরনো তব হায়..?
এমনও শ্রাবনও দিনে দুজনায়
কতনা ভিজেছি শ্রাবন ধারায়......
মোরে তো ডাকিয়া কহে আজও
ওরে আয় তোরা ফিরে আয়.....!
এখনও শ্রাবন করিবে আপন
কদমের সুভাস এখনও আগেরি মতন
শুধু অভিমান ভুলে তুই
আরেকটি বার এই বুকে ফিরে আয়
ওরে আয় ফিরে আয়.......!

নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমার ঈস্বর জানে

আমার ঈস্বর জানে.

আমি চেয়েছিলাম একটা জনারণ্য হিন নির্জন পৃথিবী
আমি চেয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে সাজাতে একটি সুখের সংসার
সে কথা আমার আত্মা জানে.........
তুমি ব্যাবধানের একটা সিড়ি জুড়ে দিয়েছিলে আমাদের ভালোবাসায়
তুমি চেয়েছিলে লোকালয়ে হোক আমাদের আবাস
তুমি চেয়েছিলে ইট পাথড়ে গড়া একটি সংসার......

আমি চেয়েছিলাম সমুদ্র তীরে কোন এক অরণ্যে ঘর বাধতে
আমি চেয়েছিলাম তোমার পাশে শুয়ে
সমুদ্রের ভেসে আসা আর্তনাদ শুনতে....
আমি চেয়েছিলাম আমাদের ঘর চাদের আলোতে আলোকিত করতে
সে কথা আমার আত্মা জানে...............

তুমি বরাবরই একটা ব্যাবধানের দেয়াল গড়েছিলে
আমাদের দুই হৃদয়ের মাঝে,
তুমি চেয়েছিলে আমাদের ঘর হোক কোন এক ব্যাস্ত শহড়ে
তুমি চেয়েছিলে আমাদের ঘর আলোকিত হোক
ফিলামিনের ঝলমলে আলোতে.......

তাই আমাদের দুরত্ব শুধু দিন দিন বেড়েই চলেছে
অবশেষে আমি জানতে পারলুম ,আসলে আমি তোমার জন্য নই
হয়তো আমি এই পৃথিবীর জন্যও নই
তাইতো নিরবে দুরে চলে গেছি ,অনেক দুরে.........
কিন্তু তোমার জন্যে আমার এই হৃদয়ের পরতে
যতটুকু ভালোবাসা রাখা আছে তাতে এতটুকু প্রতারনা নেই
সে কথা আমার ঈস্বর জানে.......!



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অধরা এবং বৃষ্টি

অধরা এবং বৃষ্টি


আজ সারাটা দিন অবিরাম ঝরছে শ্রাবন ধারা
সবুজ ধান গাছ গুলো যেন মনের আনন্দে
নৃত্যের তালে ছন্দে ছন্দে হেলে দুলে
বৃষ্টি স্নানে মেতেছে.........
সজনের ডালে  ভিজিতেছে  শালিক জোড়া 
এমনও দিনে কি করছ তুমি অধরা....... ?
বৃষ্টি তোমার ও ছিল প্রিয় ,আমিও হতাম দিশেহাড়া
কতবার ভিজেছি পাশা পাশি মোরা........
আজ সে দিন গুলি শুধু স্বপ্ন আর সুখের কল্পনা...
আজও বৃষ্টির জল আমাকে টানে
টেনে টেনে নিয়ে যায় তোমার পানে......
কিন্তু কোথায়...? সেই সুখতো আমি আর পাইনা ,
বৃষ্টির  শিতল জল আমায় ভিজিয়ে দেয় কিন্তু.....
কিন্তু আমার আমিকে শিতল করেনা
আমার এ তৃষিত হৃদয়টাকে একটু শান্তি দিতে পারেনা.....
তবুও আমি এখনও তোমারই অনুভুতি খুজি বৃষ্টির জলে.....
দু হাত মেলে তোমাকেই কাছে ডাকি মনের ভুলে....
অধরা ..তুমিকি অনুভব করতে পারছ  আমায় ?
তুমি কি অনুভব করতে পারছ ঐ বৃষ্টির জলে আমার পরষ ? 
তুমি ছারা কে আছে বলো আর ?আমার এ ব্যাকুলতা জানবার........
কতটা দহনে আমি জ্বলি বিহনে তোমার.....
কষ্টের বালুচরে এ কেমন বিষাদ ?
আমার বলতে শূন্যতা ছারা কিছু নেই আজ  আর.........
কখনও কি কোনও পরিসরে ভেবেছ  আমায় ?
এই অরণ্যের দিবা রাত্রি কি করে কেটে যায় ?
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের  পাশা পাশি
এখনতো আমাকে শ্রাবনের জল ও পোড়ায়...........!


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

ক্ষমা করো আমায় অধরা


কেমন আছ অধরা...........?
নির্জন এই মধ্যরাতে যখন
পৃথিবী ঘুমিয়ে পরেছে ক্লান্তির ভারে
ঠিক তখনি আমি হেটে চলেছি
তোমার ভালোবাসার দুরন্ত মেঠো পথে....
চাদের নীল জোছনা যেন সে পথ
ঢেকে দিয়েছে নরম নীল গালীচার আবরনে ।
কি চিনতে পেরছ আমায় তুমি অধরা......
আমি ....আমি অরণ্য...........
যে অরণ্য হাড়িয়ে গিয়েছিলো নিরবে
হৃদয়ের অদৃশ্য বন্ধন একদিন
স্বার্থপরের মতো ছিন্ন করে
এক বুক অভিমান নিয়ে,
ভুলে গিয়েছিলো যে অরণ্য ,চাইলেই যে,
সব কিছু ভুলে যাওয়া যায়না..........
ফিরে আসতে হয় এক অদৃশ্য সুতোর টানে.........
আমি এসেছি ...আমি এসেছি ফিরে অধরা...
বিশ্বাস করো অধরা...প্রাচ্যের ঝলমলে আলো
আমাকে এতটুকু মোহিত করতে পারেনি
যতোটানা তুমি পেরেছিলে সামান্য দ্বীপ জ্বেলে
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আমায় এতটুকু
মাতাল করতে পারেনি অধরা
যতটানা মাতাল করেছিলে আমায় তুমি
তোমার ভালোবাসার মাদকতায়...........
চোখের সামনেই পরেছিলো এক অশান্ত সমুদ্র
অথচ.....অথচ এই আমি তোমাকে ফেলে
কল্পনার জোয়ারে ভেসে চলে গিয়েছিলাম
ভালোবাসার দেবীর খোজে.........
বুঝতেই পারিনি তখন আমিই ছিলাম
অধরা নামের এক দেবীর আরধ্য পুরুষ.......
ক্ষমা করো আমায় ...অধরা নামের বৃত্তের
বাহিরে যাওয়ার সাধ্য যে আমার নেই.......
কি ক্ষমা করবেতো আমায়............
আজন্ম দন্ডপ্রাপ্ত ভালোবাসা হিনতার দায়ে
এই শূন্য মানুষটিকে কি তুমি
ক্ষমা করতে পারবেনা শেষ বারের মত.......
সব ভুল শুধরে নিয়ে ,নষ্ট কষ্ট নামের
ঝরাপাতা গুলো সমুদ্রের জলে বিসর্জন দিয়ে ,
তুমিকি পারবেনা অধরা.... এই অরণ্যকে
আজীবনের মতো আপন করে নিতে...?

নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

ভালোবাসার অপেক্ষা

ভালোবাসার অপেক্ষা

কেউ আমাকে একমুঠু সুখ দিলোনা
ভালোবাসার পূর্ন চন্দ্র গিলে
কেউ আমার হাত ধরে কখনও 
ভালোবাসি বললনা.....
অখচ এই একটি চাওয়া নিয়েই আমি
অপেক্ষার পর অপেক্ষা করে গেছি
কতো কাল ,তা ঠিক এখন আর মনে পরেনা
তবুও আমার এতটুকু ক্লান্তি নেই অপেক্ষার..
এই অপেক্ষাই আমাকে বাচতে শেখায়
এই অপেক্ষাই আমাকে স্বপ্ন দেখায়....
আমাকে প্রচন্ড ক্ষর তাপে পোড়ায়
আবার শ্রাবনের শিতল জলেও ভেজায়.....
ভালোবাসা আহা: ভলোবাসা.......
এই ভালোবাসা বীনা জীবন চলেনা
 আবার কারো জীবন থেমেও থাকেনা,
ভালোবাসা আর আমি দু জনেই
চলেছি খুব পাশা পাশি সমান্তরাল দুরত্বে,
ঠিক যেন রেল এর দুটি সরু পাটি
চলে গেছে বহুদুর.... পাশ পাশি...
চোখ মেলে দেখা হয়নি  কখনও ।


নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমার বিদ্রহি মন


আমার বিদ্রহি মন



আমার বিদ্রহি মন আমায় ভাবায়
আমাকে গোপনে গোপনে কাদায়...
আমাকে ঘৃনা করতেও শেখায়
আবার ভালোবাসতেও শেখায়....।

আমার বিদ্রহি মন কখনও কখনও
আমার স্বত্বার সাথে তুমুল বিদ্রহে জড়ায়
আবার কখনও কখনও অতি গোপনে
নিরবে সন্ধি করে যায়........।

জীবনের এতো গুলো বসন্ত পেরিয়ে
দ্বিধা,দন্দ,বিদ্রহ,অথবা বিগ্রহ এড়িয়ে
নিজের মনের কাছেই রয়ে গেলাম অচেনা
রয়ে গেলাম বড় বেশি অজানা....।

এ আমার অপারগতা না কি ব্যার্থতা ?
না কি আমার অসাধ্য সাধনার ফসিল ?
হয়তো এক জীবন অথবা তারও বেশি কাল
হবেনা জানা,যতোই থাকিনা কেন নিজেতে বিলিন..।

চার দেয়লের ঘর,ছয় জানালার ভিতর
আপন ঘরেই আমি আজও রইলাম পর ,
সাঙ্গ হবে যেদিন খেলা,ছারতে হবে রঙের মেলা
শূন্য হাতে যাবো চলে,শূন্য-ই রযে যাবে মোর ঝোলা..।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

 

মুক্তি যুদ্ধ এবং দুটি কবিতা


             (১)

ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই



ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই
শত্রুর ভয়ে মা-গো আমরা ভিতু নই
হাল চাষা হাতে আমরা যেমন ,
ফলাতে পারি সোনা...
তেমনি শত্রুর তরে অশ্র হাতে
রুখে দাড়াতে জানি মা....
ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই
শত্রুর ভয়ে মা-গো আমরা ভিতু নই......।
স্বাদ্ধ্য আছে কার ?তোকে ছিনিয়ে নেবার ?
আমরা তোর সন্তান ,অসীম পাহাড়
পোয়োজনে মা-গো তোর কোলে
ঘুমিয়ে যাবো চীরতরে ........
তবু শত্রুর কাছে মানবোনা হার....।
ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই
মৃত্যুর ভয়ে মা-গো আমরা ভিতু নই...........

_____________________________________
_____________________________________

            (২)
        
 বীজয়ের গান

যাদের নিবেদিতো প্রানের বিনিময়ে
আমরা ভেসেছি স্বাধীনতার জোয়াড়ে
যারা শক্ত হাতে অশ্র ধরে দিয়ে ছিলো রক্ত
মোরা যুগে যুগে রইবো তাদের স্মরনে রিক্ত,
যাদের কারনে আজ আমি গাই বাংলার গান
যাদের জন্যে আজ আমার স্বাধীন প্রান
তাদের স্মরনে গেয়ে যাবো আজীবন
মোরা শ্রদ্ধা ভরে বীজয়ের গান...........
হৃদয়ের গভিরে যে,তোমাদেরই অবস্থান ।



(মহান মুক্তি যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে এবং যে সব মুক্তি যোদ্ধা জীবিত
তাদের প্রতি আমার হৃদয়ের গভির থেকে রইলো প্রান ঢালা শ্রদ্ধা)
নির্জন আহমেদ অরণ্য.................

 
অধরা আমার অমৃত সুখ


অধরা ...কেউ জানুক আর নাইবা জানুক

তুমিতো জানো ,তুমি আমার অমৃত সুখ...

আমার রোদ্দুর নীল আকাশে উরে যাওয়া

সাদা তুলোর মেঘ....আমার উঠুনে ঝরা

শ্রাবনের শান্ত শিতল জল.........অথচ...

অথচ অধরা আজ আমি তোমার

ভালোবাসার প্রবল ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে

হৃদয়টাকে যে কতোবার জোড়া লাগিয়েছি

পেরেকের পর পেরেক ঠুকে ঠুকে তা আমিই জানি ....

অনেকে আমাকে বলে আমি নাকি কষ্টবিলাসী...

মিছে মিছি তোমার স্মৃতি বুকে ধরে রাখি....

কিন্তু আমি তো জানি .... যে অধরা আমার -

হৃদয়ের দেয়ালে লেপ্টে আছে সাদা রঙের মতো

যে অধরা আমার চোখের কোনে জমে আছে জলের মতো

তাকে তো আর চাইলেই আমি সরাতে পারিনা.....

তাই সাধের জীবন তোমার কাছে বন্ধক রেখে

আজও তোমাকেই ভালোবাসি অধরা..........

অধরা আমি পারিনি আজও তোমার মতো

জীবনটা সাজাতে , এখনো সেই আগের মতোই

অগোছালো ছন্ন ছারা আমার জীবন.....

অধরা... তোমার অরণ্য এখনো জীবনের অংকের

সুখকর মিলন ঘটাতে পারেনি.......যোগ বিয়োগের খেলায়

আজও বিয়োগের দাড় বেয়ে যাচ্ছে ক্লন্ত মাঝির মতো...

আজ তুমি পূর্ন অধরা ...এক রত্তি সুখের সংসার তোমার

তোমার সংসারের আনাচে কানাচে শুধু সুখের ছরা ছরি....

আর.....আর আমার জীবনটা এখনো রয়ে গেলো শূন্য......

মিথ্যে বলবোনা অধরা.... মাঝে মাঝে মধ্যরাতে

একটু ঘূমের জন্য পাগল হয়ে ওঠে আমার ক্লান্ত দুটি চোখ

তনদ্রা কিছুতেই আসেনা,বিছানায় এপাশ ওপাশ করে

কেটে যায় রাত....তখন আমার ভিষন হিংসে হয় তোমার জন্য

মনের গভিরে কষ্ট গুলো ফুসে ওঠে কেউটের মতো.....

গর্জে ওঠে সমুদ্রের গর্জনের মতো...

.প্রচন্ড অভিমানে ঝড় তোলে মনের আকাশ জুরে.....

আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় পাহাড়ি ঝর্নার জলে........

আমার হৃদয়টা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায় আঘাতে আঘাতে

লাল রক্তের নদী বয়ে যায় একে বেকে নিরবে..........

আমি আবার প্রান শক্তি ফিরে পাই

ভোরের শিশির ভেজা তুলসী পাতার জলে.....

ভুলে যাই সব ,হাজাড়ও কষ্টের প্রহর.........

আবারো তোমাকেই ভালোবাসি অধরা ...........

আমার সমস্ত ভালোবাসা তোমার পায়ে -

ঢেলে ঢেলে দেই স্বার্থহিন ভাবে পূজোর ছলে.........

কেউ না জানুক অধরা ....তুমিতো জানো

তোমাকে ভালোবাসতে পারাতেই -

আমার জীবনের অমৃত সুখ...............।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

আমার স্বার্থপর রুপ


আমাকে তোমরা ভালোবাসতে না পারো


আমাকে ঘৃনা করো,আমি তাতেই তৃপ্ত...


আমাকে সুখ দিতে হবেনা .কষ্ট দিও


তোমাদের কষ্ট গুলো আমি যত্ন করে তুলে রাখবো ।


আমাকে ফুল না দিলেও এতোটুকু আপত্তি নেই


আমি ভুলে ভুলে জীবনটা নিরলস সাজাতে পারি....


আমি তোমাদের সুন্দর স্বপ্ন গুলোতে ভাগ চাইনা


শুধু স্বপ্ন ভাঙ্গার দিন গুলো আমাকে দিও ।


এখন আমার হৃদয়টা পাথরের মতো


বোধশক্তি হিন একটা জড়ো পদার্থ,


কষ্টেরা মাথা ঠুকে ক্লান্ত হয়ে যায় , কিন্তু


তাদের আপন করে নিতে আমার এতোটুকু ক্লান্তি নেই


আবেগ-অনুভুতি অথবা অনুরাগ


এসব কিছু এখন আমার ফেলে আসা অতিত


আর অতিতও আজ-কাল আমাকে পিছু ডাকেনা


স্বার্থপরের মতো শুধু নিজেকে পূজো দিই


দিবা-নিশি সারাবেলা , তাই বলে তোমরা


আমাকে করুনা করোনা ,শুধু ঘৃনা করো ।














নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমি এবং আমার কিছু কথা





নিশাচর বলে  আমি ভেবনা তোমরা
আমি জীবনের কাছে হেরে গেছি
সিগারেটের পেকেট শূন্য আর
ঠান্ডা কফীর পেয়ালা দেখে ভেবনা
আমি প্রান হিন হয়ে বেচে আছি..
আমি বার বার ভাগ্যের দুয়ারে কড়া নেরে
ব্যার্থ হয়ে আবারো নতুন করে
সব কিছু ভুলে সময়ের স্রোতে ভেসেছি ...
আমি হারতে শিখিনি,আমি নষ্ট হয়ে যাইনি
আমি বিকিয়ে দেইনি আমার মনুষ্যত্ব
সস্তা দামের সুখ কেনার জন্য
নষ্ট পল্লির কোন প্রমদ বালার হাতে
কিছু অর্থ গুজে দিয়ে ভালোবাসার
সওদা করতে পারিনি আজও...
আমিতো শুধু রাতের আধারকে আপন করেছি...
আর আধারের মাঝে আলো খুজেছি.............


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে
চোখে চোখ রেখে হাজারও
না বলা কখা বলা....
বহমান নদীর মতো
একে অন্যের টানে ছুটে চলা......

ভালোবাসা মানে
মনের সমুদ্রে অজশ্র
নাম না জানা ঢেউ তোলা...
পূর্ণিমা রাতে জোছনার আলোতে
হাতে হাত রেখে অবিরল গল্প করা...
ভালোবাসা মানে
শেষ হয়ে যাওয়া
কখার পরেও দুজনার কখা বলা...
শ্রাবনের স্বন্ধ্যায়
দুজনে ভিজে বৃষ্টির সুধা পান করা.....


ভালোবাসা মানে
ভাবনার অতল গভিরে
দুজনার ডুবে থাকা
অপার বিশ্বাসে
রঙিন সুতোয় স্বপ্ন বোনা.....

ভালোবাসা মানে
শত পাওয়ার পরেও
অ-তৃপ্ত চাওয়া
পৃথিবীর বুকে
এক সুখের ঠিকানা
             ভালোবাসা মানে
               এক অ-জানা মোহে
                   রাতের পর রাত জাগা....
                বিষন্ন প্রহরে মনে মনে 
               বিরহের নামতা গুনা





ভালোবাসা মানে
মনের গভিরে এক অজানা
ভয়ের আনাগোনা...
দু চোখের কোনে
পাহাড়ি ঝর্না ধারা...                   



নির্জন আহমেদ অরণ্য





                          



 

এখনো কি তুমি


তোমার চোখে কি এখনো তন্দ্রা আসে
গভির রাতে যখন আধ ভাঙ্গা চাদ
লাজুক ভাবে ঐ আকাশে ভাসে ?
নাকি এখনো তুমি ডুবে থাকো
ঘোর লাগা সেই নাম না জানা
হাজাড়ো অপরিচিত ভাবনার মাঝে ?

সাদা মেঘের মতো এখনো কিতুমি
শরৎ এর আকাশে ভেসে যাও
ধবল বলাকার বেশে ............?
এখনো কি তুমি তিমীর রাতে
হাড়ানো সুখ গুলো খুজো
লক্ষি পেচার ডাকে ...........?

এখনো কি তোমার ভিষন্ন সময় গুলো কাটে
সাদা রুমালে রঙিন সুতায় স্বপ্ন বুনে বুনে,
নাকি এখনো আমার অপেক্ষায় সময় গুলো যাও তুমি গুনে ?
নির্জন স্বন্ধ্যার আধারে এখনোকি তোমার চোখের কোনে
নোনা জলের জোয়ার আসে
আমার ভালোবাসার দামে.........?



নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমায় একটু ভালোবাসা দেবে





আমায় একটু ভালোবাসা দেবে ?
তোমার হৃদয়ের গহিনে পরে থাকা
অপার ভালোবাসা থেকে একটু খানি.....
আমি আর পারছিনা বিশ্বাস করো ,
একা একা এই নি:স্বঙ্গ জীবনে 
নিজেকে এখন মেহেদী পাতার মতো মনে হয়
যার বাহিরটা ঘন সবুজ বরন......
আর ভেতরটায় কষ্টের রক্ত ক্ষরন ! 


আমায় একটু ভালোবাসা দেবে ?
তোমার একটু খানি ভালোবাসা পেলে
আমি আবার সুখের জোয়ারে ভাসতুম
মেঘের ভেলার মতো ঐ দুর আকাশে
উড়তে উড়তে হাড়াতে পারতুম ,
তার পর একদিন ভোরের স্নান সেরে
ভালোবাসার দেবতাকে পূঁজো দিয়ে বলতুম
হে প্রেম দেবতা আমিও ভালোবাসা পেয়েছি...
আমার প্রিয়ার দেয়া ভালোবাসা টুকু বুঁকে ধরে
আমিও তোমার মতো স্বর্গ সুখে ভেসেছি !


কোন একদিন তোমার উপহাড় টুকু সাথে নিয়ে
এই পৃথিবীর সব ঋন শোধ করে 
হড়িয়ে যেতুম অনেক দুরে...যেখানে
আমি আর আমার ভালোবাসা ছারা কেউ থাকবেনা ।






নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

ভালোবেসে সারা বেলা


আমি আছি সারা বেলা
সুখে দু:খে বেলা-অবেলা

পাখি ডাকা ভোরে
ঘুমে জড়ানো দুটি চোখে
যদি মনে পরে যায় কখনো আমায় ...
স্নিগ্ধ নয়ন যুগল খুলে দেখো তায়
শিওরে তোমার দারিয়ে আছি ফুল হাতে ঠাঁয় !!

একাঁকি অলস দুপুঁরে
প্রজাঁপতির ডানায় যখন বিষাদ ভর করে
মন বসেনা যখন কোন কিছুতে,
খুঁজে দেখ তখনো আছি আমি তোমার মন রাঙাতে
তোমার পায়ে জড়ানো রুম ঝুম দুটি নুপূরে ।।

নির্জন স্বন্ধ্যার আড়ালে
দিনের শেষ আলো টুকু হাড়ালে
যখন নিজেকে বড় বেশি এঁকা এঁকা লাগে...
তখনো রবো আমি পাশে তোমার স্বন্ধ্যা সাঁজাতে
জোনাকির মিটিমিটি আলোতে ।।

ঘুম-হীন মাঝ রাতে
তন্দ্রা রা হাড়ালে অজানাতে
যদি আমায় কাছে পেতে খুব ইচ্ছে জাগে মনে...
দক্ষিনা জানালা খুলে চেয়ে দেখো আকাশ পানে
আমি রবো কোনও এক দূর নক্ষত্রের মাঝে ।।

আমি আছি সারা বেলা
তোমার আকাশে হয়ে মেঘের ভেলা...
কখনো বা বাতাসের বেশে
তোমার খোলা চুলে দিয়ে যাবো দোলা
কখনো বা ঐ অঁধর ছুঁয়ে যাবো ভালোবেসে ।।




নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

যদি আবার ভালোবাসা পাই


যদি আবার ভালোবাসা পাই
আমি জীবনটাকে সাজিঁয়ে নেবো
গুছিয়ে নেবো সব বেদনা আর
হাড়ানোর স্মৃতি গুলো মুছে....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
আমি দিঘিতে ফোঁটাবো পদ্ম রাজি
পলাশ চাঁপার রঙে রাঙাবো
তোমার মনের সাঁজি .....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
চৈতালী দুপুরে হবো শীতল ছাঁয়া
তোমার ভিষন্ন প্রহর গুলো
ভরিয়ে দেবে আমার হীমেল মায়া...

যদি আবার ভালোবাসা পাই
নীল আকাশে উঁড়াবো প্রজাপতি,
ঘাস ফঁড়িং এর ডানায়
লিখে দেবো প্রেমের চিঠি....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
আমি শ্রাবনের ধারা হয়ে
ঝড়ে যাবো অবিরাম তোমার
ঐ মায়াবী অঁধর ছুঁয়ে...

যদি আবার ভালোবাসা পাই
শরতের মেঘ আকাশে ভাঁসিয়ে
হীমেল বাতাসে দোলে দোলে
হাড়াবো দুজনায় সাদা কাশ বনে...

যদি আবার ভালোবাসা পাই
শীতের রাতে দেবো কুশুম পরষ
ভোরের শিশির হয়ে ভিঁজিয়ে দেবো
তোমার শুষ্ক প্রহর....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
শুকনো বৃক্ষে ছড়িয়ে দেবো
বসন্তের অপার সুখ
সবুজ রঙে এঁকে দেবো পৃথিবীর মুখ..

যদি আবার ভালোবাসা পাই
রাতের আঁধার ভেঙ্গে এনে দেব
এক মুঠো নীল জোছনার আলো
তার পর শুধু তোমাকেই বেসে যাবো ভালো....




নির্জন আহমেদ অরণ্য
 
 ঝড়া ফুল



যখন সময় থমকে যায়
অপেক্ষার আড়শী নগড়ে...
যখন কষ্টের নীল রং
ভর করে ঐ আকাশে...
তখনো আমার ভালোবাসা 
শঙ্খ চীল হয়ে উড়ে তোমার আকাশে...
আমি আবার ফিরে পাই প্রান 
দু চোখ বুজে নেই ঘাস ফুলেদের ঘ্রান...
নতুন উদ্দ্যমে আবারো
পুরোনো তোমাকেই ভাবি....
এক সময় আমি আবারো ক্লান্ত হয়ে যাই
ঝড়ে যাই শুকনো ফুলের মতো....




    অরণ্য

 

ভালোবাসা


যদি ভালোবেসে তোমাকে কাছে ডাকি
ভালোবাসার টানে তুমিও ছুটে আসবে কি ?
যদি সাগড় নীলে হাড়াতে চাই দুজনায়
হাত দুটি ধরে আমার ভাঙ্গা নায়ে তুমিও চড়বে কি ?
যদি পাখির মতো ডানা মেলে উঁড়ে যেতে চাই ঐ দুরে
বলো ভালোবেসে তুমিও হাড়াতে পারো কি ঐ সুদূরে ?
যদি বাসন্তি স্বন্ধ্যাটাকে সাঁজাতে চাই গোঁধলির আবিরে
বলো তুলি আর রং নিয়ে জীবনের ছবি তুমিও আঁকবে কি ?
যদি শরতের আকাশে ভেসে যাই মেঘ হয়ে
কাশ ফুল হয়ে তুমিও দোলা দিয়ে যাবে কি ?
যদি নদী হয়ে বয়ে যাই এঁকে বেঁকে
বলো সমুদ্র হয়ে বুকে টেনে নেবে কি ?
যদি শ্রাবনের জল হয়ে অবিরাম ঝড়ি
মাটি হয়ে সেই জল তুমি শুষে নেবে কি ?
ভোরের শিশিরে শিউলি ফুল হয়ে যদি ঝড়ে যাই কোনও দিন
আঁচল ভরে সেই ফুল তুমি কুঁড়াতে আসবে কি ?
যদি ভালোবেসে হাড়িয়ে যাই কোনও দিন
আমার বিহনে দু ফোঁটা জল ঝড়াবে কি ?



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

বাপ-ধন

বাপ-ধন


এই কাঁধে তোরে একদিন চড়াইয়া বাপ-ধন
আমোদে বেড়াইতাম ঘুড়িয়া ......
আজি পাষানে বাঁধিয়া হিয়া, অষাঁঢ় কাঁধে
শেষ বারের মতো উঠাইলাম বাপ-ধন
তোরে যতন ও করিয়া সাদা কাপড়ে জড়াইয়া.....!
এই দিন দেখিবার তরে, খোদা বুঝি হায়
রাখিয়া ছিলো প্রান পাখি মোর হৃদয়ে গাঁথিয়া ....
আঁখিজল আজি ভাঙ্গিয়াছে বাঁধ বুঝি,ঝড়িতেছে দু চক্ষু মজি,
বাপ-ধন তোরে রাখিয়া একা শূন্য হাতে কি করে ফিরি বাড়ি ?
হাড়াইয়া বুকের রতন , কান্দিতেছে পাগলের মতন
ক্ষনে ক্ষনে হইয়া বেহুঁশ ,মমতাময়ী তোর জন্মদাত্রী...!
আদরো করিয়া ,যতনও করিয়া যে রাখিতো তোরে
আঁচলে বান্ধিয়া ,সেই ধন আমি মাটির কবরে কি করিয়া রাখি?
কি জবাব দিবো তারে মনে মনে ভাবিয়া মরি.....
কাঁধে জোয়ান পুত্রের লাশ,ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস
পাহাড় সম ভার বহিতে নাহি পারি....
কলিজা যাইতাছে ফাটিয়া ,পারিনা ছিড়িয়া তাহারে
বাহিরে আনিয়া আপনও হস্তে বঁধি !
দেখিয়া গোর ভাঙ্গিলো ঘোড়,কাপিয়া উঠিলো সিনা ,
আদরের মানিক আমার , কলিজা ছেড়া ধন বুঝি
অনন্ত নিদ্রা যাইবে এই মাটির বিছানায় পরিয়া..?
একদিন মোর এই প্রসস্ত সিনায় ,শুইয়া ঘুমাইতো খোকা
কচি দুটি বাহুতে জড়াইয়া ধরিয়া রাখিতো মোর গলা ....!
সে কথা ভাবিতে ভাবিতে মোর নয়ন যুগল গেলো ভাসিয়া ....
পিতার হস্তে পুত্রের দাফন,আসমান পরে ভাঙ্গিয়া___
আদরের মানিক আমার, ক্ষমা করিস এই অভাগা পিতারে তোর
যে তোরে এই অন্ধকার ঘরে রাখিয়া যাইতেছে এঁকা ।।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

ঈদের খুশি

      ঈদের খুশি

বছর ঘুরে এলো আবার
অনেক খুশির ঈদ...!!!
পাড়ার যতো বুড়ো জোয়ান
ভাংলো সবার নিদ...!!!
ঈদের নমাজ পরবে বলে
সকাল সকাল গোসল সেরে
নতুন নতুন জামা পরে ,
ছুটেন সবাই ঈদগাহে......
নামাজ সেরে কোলাকুলি
সালামী নিয়ে ঝোলা ঝুলি ,
এদিক সেদিক ছুটা ছুটি..
ইচ্ছে মতো ঘুরা ঘুরি....!!!
ফিরনী,সেমাই ,পায়েস
খেতে ভিষন আয়েশ,
কোরমা,পোলাও কত্তো কি
খেতে সবাই ভালোবাসি..
মুখে মুখে সুখের হাসি
ঘরে ঘরে ঈদের খুশি ।।



(আসুন আমরা সবাই পশু জবাই এর সাথে সাথে মনের পশুটাকেও জবাই করি)

                     নির্জন আহমেদ অরণ্য
                 ঈদের শুভেচ্ছা রইলো সবাইকে


 

বৃষ্টি




   বৃষ্টি



টিপ টিপ বৃষ্টি
মেলে দেখ দৃষ্টি,
বিধাতার সেকি
অপরুপ সৃষ্টি....।
রিম ঝিম বর্ষা
মনে বড়ো হর্ষা,
ভিজি আজ চলনা
এ সময় চলে গেলে
ফিরে পাবি কি
আর তুই বলনা ?
কালো মেঘ ঝরে যায়
শীতল পরষ দিয়ে যায়,
একা ঘরে বসে থাকিসনা
এ মধুরেন যদি হয়
একবার সমাপয়েৎ
ফিরে আর পাবিনা ।



নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

স্বপ্ন

      স্বপ্ন


গায়ের কিশোরী কন্যা __
ছড়িয়ে হাসির বন্যা__
রঙিন সুতো আর সুই এ__
বুনে যায় তার স্বপ্ন __
সাদা রুমালে__
ও কন্যা তুমি জানোনা__
তোমার নিটল পায়ে__
স্বপ্ন জড়িয়ে নূপুড়ে__
খোলা চুলে স্বপ্ন গুলো__
দোলে যায় দুপুরে__
অধর জুড়ে সুখগো তোমার__
কর্ন ফুলে স্বপ্ন আছে লুকিয়ে__

ও কন্যা কাহার সনে__
স্বপ্ন বুনো আপন মনে__?




নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

এক গুচ্ছ শুকনো গোলাপ

একটা ভিষন ঝাপটা শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো,
রাত তখন দ্বি প্রহর হবে.............
ঘুট ঘুটে অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা
ঘড়িটা হাতিয়ে খোঁজার বৃথা চেষ্টা করলাম কিছুক্ষন-
না পেলামনা ঘড়িটা..একটু একটু ভয় ও হচ্ছিলো...
হৃদয়ের স্পন্দন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তখন ।
তবুও শেষ শক্তি টুকু দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম-
ইলেকট্রিক লাইট টা জ্বালানোর উদ্দেশে 
এগুচ্ছিলাম খুব সাবধানে...কি যেনো একটা 
পায়ের সাথে লেগে পরে গেল..বুঝতে পারলাম
কি ছিলো সেটা,আমার স্বাধের ফুলদানি ছিলো,
ভেঙ্গে গেছে বেশ বুঝতে পারলাম ।
আমি ধিরে ধিরে এগিয়ে এসে দড়জার পাশে দারালাম,
হাত বাড়ালাম অনুমান করে লাইট এর সুইস এর উদ্দেশে..
শূণ্য দেয়ালে হাত পরেছে,একটু এদিক সেদিক হাত বুলাতেই
পেয়ে গেলাম সুইস বোর্ড,সুইস চেপে লাইট জ্বেলে দেখি..
আমার ফুলদানি টি ভেঙ্গে ছড়িয়ে পরে আছে...
বুকের মধ্যে একটা অজানা যাতনা শুরু হলো,
এই ফুলদানিতে যে, কতোবার মানষীর দেয়া ফুল-
শোভা পেয়েছে তার কোনও ইয়াত্তা নেই ।
তোমাকে হাড়িয়ে যে ফুলদানিকে দির্ঘ 
১৩ টা বছর আগলে রাখলাম তা এক নিমিষেই
আমার স্বপ্ন ভাঙ্গার মতো খান খান হয়ে গেলো ।
নিজেকে সামলে নিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলাম
সেই ঝাপঁটা শব্দটার কেন্দ্রস্থল.......
না, কিছুইতো নেই...জানালাটা খোলা...
হালকা ফুরফুরে বাতাস আসছিলো তখনো...
বুঝতে অসুবিধে হলোনা শব্দটা প্রচন্ড বাতাসের সাথে
জানালার খোলা পাল্লার পরাজয় ছিলো ।
আমি ধিরে ধিরে এসে দড়ালাম জানালার গ্রিল ধরে,
আকাশের পানে চেয়ে দেখলাম কি সুন্দর পূর্ণিমা চাঁদ উঠেছে..
অকৃপন ভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে নীল জোছনা......
অবাক চোখে দেখছিলাম প্রকৃতির এই অপরুপ খেলা ,
এক সময় চোখ গিয়ে আটঁকে গেলো বাগানের শেষ-
সিমানার কৃষ্ণচূরা গাছের ছাঁয়া তলে বেড়ে উঠা 
হাসনাহেনা গাছটির দিকে....অবাক হলাম....!
কে ওখানে...দাড়িয়ে আছে ? সাদা শাড়ি পরে..
পরম আদরে বুলিয়ে দিচ্ছে হাত সদ্য ফোঁটা ফুলে ?
যে ভাবে হাত বুলাতো মানষী ঠিক সেভাবে...
বুকের গভিরে যখন না না প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিলো তখন
ঘুরে দাড়ালো সেই সাদা কাপড় পরা মানুষটি.....
আমি কিছুক্ষনের জন্য অষাঢ় হয়ে গেলাম...
সেকি এযে দেখি আমার মানষী দাড়িয়ে আছে-
তবেকি এতোগুলো বছর পরে মানষী ফিরে এলো ?
যে মানষী পিতা মাতার কথা রাখতে গিয়ে-
আমার ভালোবাসা উপেক্ষা করে আপন করে নিয়েছিলো
অজানা-অচেনা একজন মানুষের সংসার ...!
সে মানষী কি তবে ফিরে এলো সত্যিই এই অরণ্যের কাছে ?


আমি তখন অনুভব করলাম কে যেন আমাকে 
পেছন থেকে হাত ধরে টানছে,চোখ ফেরাতেই দেখলাম মা ,
মা দাড়িয়ে আছেন আমার শিয়রে,আমাকে জাগাতে এসেছেন..
আর আমি শুয়ে আছি বিছানায়,প্রথমে মেলাতে পারছিলামনা 
আসলে কোনটা স্বপ্ন আর কোনটা বাস্তব ।
মা চলে গেছেন ততক্ষনে ,আর আমি জানালা দিয়ে 
বাহিরের দিকে তাকালাম বিছানায় শুয়ে ই-
সকালের সোনা রোঁদ ঝিলিক দিচ্ছে কাঁঠাল চাঁপার কঁচি পাতায় 
আমার এতোক্ষনে মনে পরলো ফুলদানি টির কথা...
চোখ ফিরিয়ে দেখলাম - না অক্ষত ই আছে সেটা...
এক গুচ্ছ শুক্ন গোলাপ তার বক্ষে শোভা পাচ্ছিলো তখনো ।








নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

অধঁরা এবং নীল আকাশ

অধঁরা... আকাশ দেখেছ ? নীল আকাশ...
নির্জন শূন্যতা বুকে ধরে অপেক্ষার 
অনন্ত সময় একা......একা.....
কষ্টের প্রহর কি করে গুনে যায়....?
তোমার অরণ্য ও এখন তেমনি
তোমার দেয়া এক বুক শূন্যতা নিয়ে
অপেক্ষার দায় ভার কাঁধে ....
একা...একা...দিন কাটায়...।
ঐ আকাশের মতোই এখন ..
এই অরণ্যের পৃথিবী ছেয়ে আছে
কষ্টের নীল চাঁদরে.......
আকাশের মতোই নির্জন সন্ধায়
হৃদয় ক্ষত থেকে শুরু হয়..
প্রতিদিন রক্ত ক্ষরন...
রাতের অন্ধকারে সুখ গুলো
যেন ঘোর অমাবশ্যা ,
নিজের ছাঁয়াকে মনে হয় আলেয়া ....
ঐ আকাশ কষ্টের ভার সইতে না পেরে 
মাঝে মাঝে অশ্রু ঝড়ায় বৃষ্টির ছলে...
শুধু আমি পারিনা দু চোখের কোন হতে
আকাশের মতো বৃষ্টি ঝড়াতে...
আমার কষ্ট গুলো দিন দিন শুধু
বুকের পাঁজড়ে বাসা বাঁধে....
তবুও অঁধরা.... আমার এতোটুকু ক্লান্তি নেই
তোমার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে...।






নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

চলোনা আজ ভালোবাসি

চলোনা আজ ভালোবাসি


চলোনা দুজন আজ ভালোবেসে
হাড়িয়ে যাই ওই সুদুরে ,
যেখানে দিগন্ত মিশে আছে
শেষ সিমানা জুড়ে....।

এসোনা দেখো কি অপরুপ সেঁজেছে
গোধূঁলি আজ আবিরে ,
চলোনা ভালোবেসে সন্ধা নামাই
আজ এই ধরনি তলে....।

নামুকনা আধাঁর যতোটা খুশি
তোমারই চোখের কাজঁল ছুয়ে ,
চাঁদেরই জোছনা ঝড়ুঁকনা আজ
তোমারই অধঁরে....।

সুখেরই অনুভুতি হৃদয়ে নিয়ে
এই সন্ধার আবেগে ....
স্বপ্ন গুলো উঁড়াই আজ
জোনাকির ডানায় ভর করে...।


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অধঁরা

অধঁরা


তখন আমি ছিলাম একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর
যখন তুমি আমার হৃদয়ের নরম পলিতে ,
ভালোবাসার প্রথম বীজ রোপন করেছিলে অধঁরা___
তুমি আমায় প্রথম হাত ধরে ভালোবাসার পথ চলতে শিখিয়েছিলে
যেভাবে প্রথম বরষের শিশুকে চলতে শিখানো হয়
অধঁরা.. তুমিই প্রথম আমায় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলে____

আজ তুমি নেই অধঁরা আমার পাশে,তবুও
তোমার স্মৃতি আমার মনো মন্দিরে সজতনে রাখা আছে ।
আমার ভাবনায়,আমার কল্পনায় তুমি আছো ও থাকবে
অধঁরা তুমি শেষ চিঠিতে লিখেছিলে___
‍‌‌‌‌‍‍‍"কখনো যেন ভুলোনা আমায়"
ভুলিনি তোমায় আমি অধঁরা আজও,অথচ__
অথচ অধঁরা তুমি ভুলেছ সবই,রাখনি কথা
বেধেঁছ সুখেরই সংসার,খুঁজে নিয়েছ আপন ঠিকানা ।

অপেক্ষায় আছি অধঁরা,তেরটা বসন্ত কেটে গেছে তুমি হীনা
তোমার রোপন করা সে ভালোবাসার বীজ অংঙ্কুরিত হয়েছিলো-
সেই অনেক আগেই,সেই চারা গাছটি আজ একটি বৃক্ষ রুপে_
অজতনে বেড়ে ওঠেছে,অনেক শাঁখা প্রশাঁখায় বিসৃত ।
আমি সেই বৃক্ষটিরে হৃদয় থেকে আজও উঁপড়ে ফেলতে পারিনি
ভূগর্ভের মতো আমার হৃদয়ের গহিনে বৃক্ষটির শিকড় আজও
অনেক শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরে আেছ______

অধঁরা... তোমার সেই অরন্য আগের মতো নেই আর
বদলে গেছে অনেক,অপেক্ষার ভারে বড় বেশি ক্লান্ত এখন ।
সময়ের পরিহাঁসে সেই কুঁচ কুঁচে কালো চুল বদলেছে আপন রং
শুধু যায়নি মুছে হৃদয়ের ক্ষত,চলছে অবিরত রক্ত ক্ষরন ।
অধঁরা.. এখনো তোমার অরণ্য সড়ল ধাঁধার উত্তর মেলাতে পারেনা ,
এখনো জীবনের যোগ বিয়োগের অংক মেলাতে পারেনা ,
এখন তোমার অরণ্য এক বুক জ্বালা নিয়ে কাটায় প্রহর,
ঘুম হীন রজনি সঙ্গি হীনতায় বড় বেশি কাতর_____
নতুন সকাল আসে এ ধরনী তলে,বিষাদি রাত হয় ভোর
তবুও অধঁরা.. তোমার অরণ্যের জীবনে রয়ে যায় সেই,
পুড়ানো জীবনের ধারা বাহিকতার ঘোড়_______


নির্জন আহমেদ অরণ‌্য

০৩/০৭/২০০৮ ইং

 

আধাঁরের পথ

আধাঁরের পথ


আধাঁরের পথ ধরে আমি
খুঁজেছি ভালোবাসার নীল জোছ্না,
চলে গেছি দুর থেকে বহু দুরে
বুঝিনি সব ছিলো ছলনা ।


যে পথটা ছিলো একদিন
ফুলে ফুলে ঢাঁকা,
ফিরতি পথে দেখি আজ
কাঁটায় কাঁটায় ভরা ।


ফুল গুলো ঝরে গেছে
আঘাতে আঘাতে ,
ভুল গুলো আজ শুধু
পরছে মনে ।


যে সুখের বারতা একদিন
এসেছিলো জীবনে,
সে বারতা আজ দুঃখের
সারথী হয়ে রয়ে গেছে মনে ।






নির্জন আহমেদ অরণ্য


১৮/০১/২০১০

 

কুহেলিকা

কুহেলিকা


বসন্ত ছুয়ে ছিলো এ মন কোনও এক ক্ষনে
নতুন সাঁজে সেঁজে ছিলো,রঙে রঙে হৃদয়ের আঙ্গন,
এসে ছিলো কুহেলিকা এক সাঁজ প্রহরে
বেধেঁ ছিলাম নীড় এ বুকে, তারই অবগাহনে__
এক অজানা মোহে বিলিন ছিলাম সেই লগনে
কুহু কুহু রবে ডেকেছিলো কুহেলি মনের আঙ্গিনা জুড়ে,
কতো তিমীর রজনি বহিয়া গেছে সেই সুরে সুরে
তন্দ্রা যেন পথ ভুলে হারিয়েছিলো আপন ঠিকানা___
বিবাগী প্রহর যেন ছেরেছে মনের পরিচিত শহড়
আপন মনে আপনারে লয়ে তাহার তরে সন্ধি করা
কখন যে চলিয়া গেল বসন্ত বালা মনেরও অগোচরে....
কুহেলিকা বাধেঁনি নীড়,অকূলে ফেলে মোরে গেল উড়িয়া...
দেখিতে দেখিতে বরষ ও মাস গেল কাটিয়া.....
তবুও রহিলাম পথ চাহিয়া,আসিলো বর্ষা চলিয়া
আমি আমারে লয়ে রহিলাম আত্মভোলা ।
তারই পর থেকে এসেছিলো বহু বসন্ত বালা,
মনের আঙ্গন জুড়ে সাঁজাতে পারেনি রঙে রঙে,
আসেনিতো কুহেলি মোর আর ফিরিয়া......
হয়তো বেধেঁছে নীড় অন্য কোথাও,আপনারে ভুলিয়া,
রহিলা তুমি মোর মন কাহার পথ চাহিয়া......
বসন্ত গুলো গেল বুঝি মোর বিফলে চলিয়া.....
তবুও রহিলা তুমি মন আপনারে লয়ে আত্মভোলা....




নির্জন আহমেদ অরণ্য
০৪/০১/২০১০ইং