¨¨¨˜˜°º ۩20۞12۩ º°˜˜¨¨¨

 

তুমিও কি ঘাস ফুল




প্রেম তুমিও কি ঘাস ফুল ?


জীবনের যোজন বিয়োজনে


এক মধুর ভুল !


মিথিলা ,

মিথিলা... তুমিও কি ঘাস ফুল ?


তুমিও কি এ জীবনে 


এক মধুর ভুল ?




না হয় তুমি হলে আমার অলেখা যত কবিতা


আমার খাতা জুড়ে শব্দের যত মণিকা ;




অথবা ,না হয় তুমি হলে জীবনের ছবি


আমি না হয় হবো ঘাস ফুল দের কবি !






নির্জন আহমেদ অরণ্য 
 

একদিন মেঘ হবো





একদিন মেঘ হবো , আগমনী সন্ধ্যা জুড়ে
ঝরবো অঝর ধারায় ......।
সবুজ পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ঝরে যাব নীরবে
তারপর , তারপর মিশে যাব মাটির মায়ায় ......
মিথিলা ...
আমার একরোখা জেদ , আমার অহংকার
আমার নিঃসঙ্গ একাকীত্ব ও অবহেলিত জীবন
কিছুই চাইনা আর এই অবেলায় ,
শুধু এক টুকরো মেঘ হতে চাই আগমনী
সন্ধ্যার আকাশে । এই বিশেষ কথা গুলো
তোমার জানা খুব বেশি প্রয়োজন , কেননা
আমার ভিতরে খুব মধ্যখানে তোমারই বসবাস ।
কিছু অমোঘ সত্য আমাকে আজ কাল
খুব বেশী পিড়া দেয় , আমাকে ক্রমশও
ভেঙ্গে যায় সমুদ্র তীরে গড়া বালুকার প্রাসাদের মতোই ,
আমার এক পলক দৃষ্টি অনায়াসে তোমার পৃথিবী
জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড় খাঁড় করে দেয় ...
আমি জানি আমার ইচ্ছে গুলো তোমাকে কতটা
অবহেলিত করে , তুমি কি বুঝো আমার পৃথিবী
ধ্বংস হয়ে যায় কতটা ভূমিকম্পে ?
আমার কল্পনায় আমার অস্তিত্ব হিম হয়ে আসে প্রতি রাতেই
কর্ণ-যুগল হয় বধির , স্বচ্ছ দুটি চোখের দৃষ্টি
বাষ্পীয় হতে ঘন বাষ্পীয়তায় ডুবে যায় ঘন কুয়াশার মতোই ;
সাদা আর কালোর মাঝে খুব বেশি একটা তফাৎ খুঁজে পাই না
শুধু মনে আসে একজোড়া নীল চোখ , একজোড়া নীল পদ্ম ।
বিশ্বাস করো ,
নিজেকে বদলে নিতে মনের সাথে প্রতিনিয়ত হয় দ্বন্দ্ব
নিশাচর এই আমি এখন আর কারো পথ চেয়ে বসে থাকি না
নিজেকে সঁপে দেই অন্ধকারে শোবার ঘরে সংগোপনে
যেখানে আমার কোন ঘর বাড়ি নেই , এক রত্তি সুখ নেই ;
মাঝ রাতে যখন ঘুম ভেঙ্গে যায় তখন অন্ধকারে
হাত বাড়িয়ে খুঁজি দুটি হাত , একটু আলিঙ্গন ,
উদ্দেশ্যহীন জীবনটাকে তবুও মাঝে মাঝে মনে হয়
খুব বেশি প্রিয় ।



নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

একটি স্বাধীনতা





আমি যুদ্ধ দেখিনি , আমি দেখিনি সারিবদ্ধ লাশের কাতার
আমার জন্ম হয়েছিল স্বাধীন দেশে ,
মায়ের কাছে শুনেছি যুদ্ধের জয়গান
মায়ের মুখে নাক রেখে শুঁকে দেখতে চেয়েছি
সেদিন বাতাসে বারুদের গন্ধ কতটা ছিল
কান পেতে শুনতে চেয়েছি কতবার
সজনের লাশ বুকে কতটা আর্তনাদে ভারী হয়েছিল আকাশ ?
আমি যুদ্ধ দেখিনি , দেখিনি শহীদের বুক থেকে
ক্লেদের মতো গড়িয়ে পরা শুঁকনো রক্তের চাপ চাপ দাগ ...
দেখিনি কি করে একটি বুলেট ছুটে এসে
নববধূর স্বপ্ন করেছিল ধূলিসাৎ
মেহেদির রঙ না যেতেই অঙ্গে জড়াতে হয়েছিল সাদা শাড়ি ,
আমি দেখিনি সেদিন ভাই হারা বোনের গালে আঁকা
চোখের জলে স্নান করা অঞ্জলির দাগ ...।
আমি শুনেছি কেবল মায়ের কাঁপা কণ্ঠে সেদিন গুলোর কাহন
অবুঝ শিশুর পাশে পরে থাকা পিতামহের ক্ষত বিক্ষত লাশ ,
মানুষরূপী হায়েনার থাবায় নারীর ক্ষত বিক্ষত বুক
অমানুষিক বর্বরতার যন্ত্রণার চিৎকারে সেদিন নাকি
আড়াল হয়ে গিয়েছিল শিশুটির ক্রন্দন !
মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার অপরাধে হয়ত সেদিন
অবুঝ শিশুটির বুকেও জন্মেছিল পৃথিবীর প্রতি ঘৃণা ,
সেদিন বিবেকের কাছে মনুষ্যত্বের মৃত্যু হয়েছিল
ধিক্কার তাদের মানুষ হয়ে মশাদের মতো মানুষের রক্ত নিয়ে
খেলেছিল সেদিন যারা এই নোংরা খেলা ...।
আজ ঘুমিয়ে আছে মায়ের মমতা ভরা কোলে তারা
সেদিন একটি স্বাধীন দেশের জন্যে প্রাণ দিয়েছিল যারা ,
কিছুই হয়নি ভুলা , কখনও ভুলার নয় এ ঋণ
আজও বাঙালীর রক্তের স্রোতে বাজে সেই বীণ ।

স্বাধীনতা মানে এই নয় জন্মগত সূত্রে একটি পাওয়া
স্বাধীনতা মানে নয় যা ইচ্ছে তাই করা ,
সেই স্বাধীনতা চাই যে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিল সেদিন
চল্লিশ বছর আগে বাঙালীর তাজা রক্তে স্বাক্ষর করা ।


নির্জন আহমেদ অরণ্য

উৎসর্গ - মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া প্রতিটি বীর সূর্য সন্তানকে.....।।

প্রতিটি বীর যোদ্ধার প্রতি অন্তরের গভীর থেকে শ্রদ্ধা , বিরঙ্গনাদের প্রতি পর্বত-সম সম্মান , শহীদ জননী দের কে জানাই কৃতজ্ঞতা, আমাদের আজন্ম ঋণ প্রতিটি শহীদ পরিবারের কাছে । এ ঋণ
কখনই শোধ হবার নয় ।

আমাদের লজ্জা - এ জাতীর লজ্জা চল্লিশ বছর পরেও বীর যোদ্ধাদের যখন দেখি জীবন যুদ্ধে এখনও তারা যুদ্ধ করে যাচ্ছেন । চল্লিশ বছর পরেও একজন বীর যোদ্ধা জিন্নাত আলীকে খুন হতে হয় তারই জীবন বাজী রেখে অর্জিত স্বাধীন দেশে । আমরা তাদের প্রাপ্য সম্মান এবং জীবনের নিরাপত্তা দিতে অপারগ অথচ তারাই আমাদের উপহার দিয়েছিলেন একটি মানচিত্র একটি স্বাধীন দেশ একটি পতাকা । এ লজ্জা আমাদের যখন একজন মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আলী স্বাধীনতার ৩০ বছর পরেও স্বাধীনতাকে খুঁজে ফিরেন । 
 

বিনিদ্র আমি





অমা-নিশি ভেদ করে কিছুক্ষণ পরেই উঁকি দিবে
সাগর জলে স্নান করে নতুন সূর্যটা ,
শ্মশানের নীরবতাকে ম্লান করে পাখিদের বসবে সভা
নিদ্রিত কুঁড়ি মেলিবে দল অবাক হয়ে দেখিবে বসুন্ধরা ...
কিছু ফুল ঝরে যায় অবেলায় ভোরের আলোর পায়না দেখা
পৃথিবীর ক্রন্দনে ঝরে পরে শিশির কণা ,
ভিজিয়ে দেয় সবুজ ঘাসের বুক , ঘাসেরও সুখ মিলে না
শুষে নেয় সূর্যের তাপ মুছে দিয়ে যায় একটি রাতের সাধনা ।

দাড়িয়ে আছি পাশাপাশি ,

আমি আর অযত্ন অবহেলায় বেরে ওঠা একটি বট গাছ
আমাদের দুজনার মাঝে অনেক মিল , সখ্যতা
আমাদের মাঝে এখনও কারো হয়নি দেখা মুক্ত আকাশ
দৃষ্টির সীমানা জুড়ে মেঘহীন একটি নীল আকাশ ,
ঘুম নেই , চোখের কোনে তন্দ্রার কোন অস্তিত্ব নেই
অনুভব করতে পারি শুধু বুকের ভেতর
গোপন আন্দোলনে মেতেছে অদৃশ্য কিছু যন্ত্রণা
পাঁজরের এপাশ ওপাশ ক্ষতবিক্ষত করছে ক্রমেই কেউটের ফণা ।

হালকা বাতাস এসে কাঁপিয়ে দিয়ে গেলো হিম হয়ে যাওয়া শিরদাঁড়া
বট গাছটা যেন এবার দেখবেই মুক্ত আকাশ, পেয়েছে নতুন প্রেরণা ,
সবুজ পাতায় জমে থাকা শিশির কণা গড়িয়ে একটি বিন্দু এসে পরল ললাটে
জানান দিয়ে গেলো কত নিশি বিনিদ্র আমি , তার বিহনে ।


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

                                   ঈশ্বর হতে চাইনি






তোমাকে ভালবাসতে চেয়েছি শুধু
তোমাকে ভালবাসার জন্য ,
আমি ঈশ্বর হতে চাইনি কখনো
চেয়েছি শুধু তোমার অঙ্গনে কৃষ্ণচূড়া হতে ।

মেহেদী হয়ে রাঙাতে চেয়েছিলাম তোমার দুটি হাত
কাঙ্গনের ঝংকারে সারাক্ষণ চঞ্চল রাঙা দুটি হাত ,
বিশ্বাস কর আমি ঈশ্বর হতে চাইনি কখনো
চেয়েছিলাম তোমার নীল দুটি চোখে অঞ্জন হতে ।

একটি কাঁটা হীন হলুদ গোলাপ অথবা -
অথবা একটি রক্তকরবী হতে চেয়েছিলাম ,
অনন্ত বাসনায় তোমার অপেক্ষায় থাকতে চেয়েছিলাম
তোমার ঐ মেঘ কালো চুলে কোন দিন যদি হয় ঠাই ।

ভালবাসার ঈশ্বর হতে নয় চেয়েছি শুধু
তোমায় ভালবেসে যেতে নিরালায় ,
অলস দুপুর জুড়ে থাকতে চেয়েছিলাম
এক জোড়া নূপুর হয়ে তোমার চপল দুটি পায় ।


নির্জন আহমেদ অরণ্য 

 

                                শূন্য পরে শিউলি তলা






মনে পরে না আজ আর শেষ কবে তোমার চোখে
ভালবাসা নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম ,
শেষ কবে তোমার হাত ধরে বৃষ্টির জলে স্নান করেছিলাম ...
চোখের কোনে জমে থাকা জল বাঁধ ভেঙ্গে ভাসিয়েছিল যে অঞ্জন
কতটা বছর রুমালের ভিতর তা পুষে রেখেছিলাম ।
মনে পরে না , আজ আর কিছুই মনে পরে না তার
চিলেকোঠায় পাশাপাশি বসে সুদূর ভাবনায়
আকাশের নীলে চোখ রেখে কতটা অবাক হয়েছিলাম
পাখিদের স্বাধীন বিচরণে ...
শেষ কবে তোমার নিঘাত ভালবাসার শীতল ছায়া তলে
উড়নচণ্ডী এই আমি পথের ক্লান্তি ভুলেছিলাম !

অঘ্রাণের এই সকালে ভেজা ঘাসের বুকে
যেতে যেতে পথে মনে পরে গেলো আজ বহুদিন পরে
একদিন ভালবাসা ছিল হৃদয়ের অরণ্য জুড়ে ,
একদিন কেউ ছিল পাঁজরের অতল তলে ...
আজ তুমি নেই ,কেউ নেই , ভালবাসা নেই
ঝরে গেছে সব ফুল , শুধু রয়ে গেছে কিছু ভুল ...
ভুল গুলো সাথে লয়ে অনন্ত পথে চলা
পিছু ফিরে আর হয়নি দেখা শূন্য পরে শিউলি তলা ...।




নির্জন আহমেদ অরণ্য 
 

গ্রহণ লাগা জীবন





ভালবাসার যোগ বিয়োগে সর্বস্বান্ত এই আমি
তবুও নির্লজ্জের মতো এখনও আরশির সামনে দাড়াই 
নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখি এপাশ ওপাশ , 
আরশির বুকে ভেসে থাকা আমার অভিশপ্ত মুখ 
কালো সাদা দাঁড়ি আর উস্ক শুষ্ক চুলের বিন্যাস
সমস্ত অবয়ব জুড়ে ... এই কি আমি ,নাকি অন্য কেউ ?
মাঝে মাঝে নিজেকে চিনতে অনেক বেগ পেতে হয় আজ কাল ...
যে চোখ দুটো এক দিন ছিল গহীন অরণ্যের মতো   
হাড়িয়ে যেত তোমার নীলাভ দুটি চোখের আঙ্গিনায়
সে চোখ দুটি এখন ধোয়াটে ভীষণ , গ্রহণ কালের নির্জন স্বাক্ষর ...  
অথচ  ......
অথচ এখন তোমার পরিপাটি সাজানো জীবন, 
গুছানো এক রত্তি সংসার তোমার 
বেশ তো আছ , ভালই আছ ,
অনুভবে নেই এত টুকু কষ্টের রেষ 
তোমার বাগানে  কুয়াশার নব জলে স্নান করে এখন ফুটে ফুল 
জানালার গ্রিল ডিঙিয়ে মেঝেতে গড়াগড়ি খায় এক ফালি রোদ ... 
কানের দুলে দোলা দিয়ে যায় বৈরী বাতাস , তিক্ততা নেই অলস দুপুরে ,  
এ ঘর ও ঘর করে কেটে যায় সময় তোমার সুর তুলে নূপুরে ...
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে ঝিলিক দিয়ে যায় সোনালী আভা তোমার খোলা চুলে ,
সন্ধ্যার অভিসার নামে অপেক্ষার আরশি নগরে , 
প্রিয় মানুষটির ঘরে ফেরার আহ্বানে ...
রাতের নির্জনতা ভেদ করে উঁকি দেয় রুপালী জ্যোৎস্না কাঁঠাল পাতার ফাঁকে
ঘুমাও তুমি , ঘুমাও প্রিয় মানুষটির বাহু বন্ধনে .........


আমিও আছি ভালই আছি একা একা 
রুপালী জ্যোৎস্নার আলো নেই , সুখের তন্দ্রা নেই  
আছে শুধু মহাকালের নীরবতা ... 
সৃতির চাঁদর গায়ে জড়িয়ে নির্ঘুম রাত জেগে থাকা ......




নির্জন আহমেদ অরণ্য 

 

সৃতির আয়নায়







কাল সারা রাত তুমি সৃতি হয়ে পাশে ছিলে
ফুল ঝরা রাতে তুমি ঘুম কেড়ে নিলে...
এতদিন পরে তুমি কেন এলে
এ কোন সুখের আবেশে আমায় ভরিয়ে দিলে ?
কাল সারা রাত তুমি সৃতি হয়ে পাশে ছিলে............

শরতের এই রাতে পূর্ণিমা চাঁদ ছিল গগনে
দীপালির আলোতে মুখোমুখি বসে দুজনে
দৃষ্টির ভাষাতে কথা হয়েছিল দুটি আঁখিতে
সুখের অনুভূতি ছিল দুটি হৃদয়ে সেই লগনে ,
কাল সারা রাত তুমি সৃতি হয়ে পাশে ছিলে .........।।

আমার শূন্য হৃদয় তুমি ভালবাসায় ভরে দিয়ে গেলে
শত বিনিদ্র রজনী আমার তুমি কেড়ে নিলে......
বেদনার কালো রঙ মুছে দিয়ে গেলে অধরের ঐ হাসিতে
জ্যোৎস্নার বৃষ্টিতে ভিজে ছিল পল্লব সেই নিশীথে
কাল সারা রাত তুমি সৃতি হয়ে পাশে ছিলে .........।।



নির্জন আহমেদ অরণ্য 

 

নীল দুটি চোখ




আমি তাহার নীল দুটি চোখে দেখেছি সমুদ্র
পাহাড়ি ঝর্ণাকে অবলীলায় করেছে সে ম্লান ......
ঐ চোখে রেখেছি কতবার চোখ
দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে খুঁজেছি ডুব সাঁতারে
মুক্তোর সুখ ............
ঐ চোখে বাঁধা জল সহসা করে টলমল
কচু পাতায় যেন জমেছে বৃষ্টির জল ......
সেই চোখে কখন যে পরে গেছি ধরা
নিজেকে ভুলে হয়েছি দিশেহারা ......।
অনন্ত কাল এ দুটি চোখের কোনে আমার বসবাস
এই চোখেই দেখেছি আমার সর্বনাশ ...... !

চোখের জলে স্নান
ঘাসের বুকে শিশিরের অভিমান ......!





নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

সীমাহীন প্রেম





যদি নিজেকে জলাঞ্জলি দিতে চাও আমাতে
নেমে এসো পথে ,
জনসমুদ্রের বাঁধ ভেঙ্গে আমাকে আপন করে নাও আলিঙ্গনে...
আমাকে সিক্ত কর জনতার অপবাদ তুচ্ছ করে
তোমার চুম্বনে ......
আমাকে ভিজিয়ে দাও তোমার ভালবাসার অঝোর শ্রাবণে
আমাকে তোমার করে নাও শত মানুষের ভীরে ......।।
আমি জাগ্রত জনতার ভীরে প্রকাশ্য দিবালোকে
তোমার হাত দুটি ধরতে পারি............
আমি স্লোগানে মুখরিত জনতার ভীরে
চিৎকার দিয়ে বলতে পারি তোমাকেই ভালবাসি ............
ধর্মান্ধ শকুনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি উপেক্ষা করে
তোমাকে আপন করে জড়িয়ে ধরতে জানি .........
তোমার নরম দুটি ওষ্ঠে অগণিত চুম্বনের ঝর তুলতে পারি
ঝং ধরা নিয়মের শিকল ছিরে .........
ক্রোধে ঝলসে দিতে চায় যারা দৃষ্টির অনলে
তোমার আমার এই সীমাহীন প্রেম ,
ঝলসে দিক , তবুও ভয় করিনা
তোমার হাত দুটি ধরে মৃত্যুর মুখোমুখি দাড়াতে ...... !


নির্জন আহমেদ অরণ্য 
 

তবুও জ্যোৎস্নার বৃষ্টি ঝরুক







রাতের নির্জনতাকে আজ প্রাণ দিয়েছে
ভরা পূর্ণিমার রুপালী চাঁদ .........
ভেজা জ্যোৎস্নায় স্নান করে
প্রকৃতি সেজেছে আপন মহিমায় ,
শরতের আকাশে সাদা তুলোর মেঘের দল
আজ মেতেছে লুকোচুরি খেলায় ......
তবুও জ্যোৎস্নার বৃষ্টি ঝরুক
তবুও চাঁদের হাঁসি আজ অমলিন থাকুক .........
এমনও রাতে মনে পরে তারে
হৃদয়ের সবটুকু জুড়ে যে জন থাকে নীরবে ......
সে যে আজ দূরে বহুদূরে
এই রুপালী রাতে সেকি চাঁদের পানে চেয়ে
আমারই কথা ভাবে ভেজা দুটি চোখে ............ ?
তার হৃদয়ে কি আজ আমারই মতো
বাঁধ ভাঙ্গা আবেগের অঝোর শ্রাবণ ঝরে অবিরত ?
ঘুমহীন এই রাতে আনমনা ভাবনাতে
কেটে যায় আমার প্রহর ,
তুমিও কি পার নি ঘুমোতে , আবেগী এই রাতে
নাকি কেটে যায় সময় তোমার
রঙিন সুতায় নকশা তুলে রুমালে ?
এই নিঝুম রাত , এই রুপালী চাঁদ ঢেকে যায়
তুমি হীনা বিষাদের কালো চাদরে ......
চন্দ্রাহত এই আমি অপেক্ষার দায় বয়ে যাই
ছায়া বীথি তলে ............।।
তবুও আজ জ্যোৎস্নার বৃষ্টি ঝরুক
তবুও চাঁদের হাঁসি আজ অমলিন থাকুক ............... !




নির্জন আহমেদ অরণ্য 
 

তুমি আর আমার নও







তোমাকে আমি আমার কল্পনার রঙে
সাঁজাই নিরন্তর ,
তোমাকে আমি ভালবাসি সীমাহীন
হয়তো ,
হয়তো ...... এ আমার অভিলাষ ,
অথবা বলতে পারো আমি আজও
তোমাতে বিভোর ..... এক স্বপ্ন বিলাস ।
শুধু আমি ভুলে যাই , ভুলে যাই
তুমি আর আমার নও ............
এত কাছা কাছি দুজনে আজ , তবুও
তবুও দুজনার মধ্যখানে বিরাজমান
বহু ক্রোশ দূর .....
মনের ভেতর ক্ষণে ক্ষণে বেজে ওঠে
বিরহের করুণ সুর ............
চৈতালি দিনে সবুজ প্রান্তর হারায় আপন রূপ
চাতকের অপেক্ষা বরিষণে ,
ভিজায় তৃষিত বুক.........
শুধু আমার তৃষ্ণা মিটে না ,
অঝোর শ্রাবণে আমার হৃদয়ে
সুখের বাণ আসে না ......
আমার তৃষ্ণা মিটে না .........
মধ্য রাতে নদীর জলও ঘুমিয়ে পরে
ক্লান্তির ভরে ,
শান্ত শীতল জলে ভেসে ওঠে জল ছবি
নৌকোর গলই আর রুপালী চাঁদ .........
আর আমি , আমিতো চন্দ্রাহত
চাঁদের জ্যোৎস্নাও আমাকে করেছে পর
তমারই মত ,
আমি নিষিদ্ধ ছায়া বীথি হতে ।
আমার আপন শুধু এখন এ অন্ধকার ঘর
ঘুমেরাও আজ কাল হয়েছে পর ,
তিমির রজনী হয় ভোর
তবুও কাটে না আমার ঘোর .........
আমি ভুলে যাই , ভুলে যাই
তুমি আর আমার নও ,
আমাদের মাঝে এখন বসত করে
যোজন যোজন দূর ......... ! 




নির্জন আহমেদ অরণ্য 
 

ঝুম বৃষ্টি





একদিন সন্ধ্যায় ঝুম বৃষ্টিতে 
প্রকৃতির অনাবিল সৃষ্টিতে ,
তুমি এসো খোলা চুলে ভিজে 
তুমি এসো অঝোর শ্রাবণ নিয়ে...... 
ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি অবিরাম ঝরবে
বাতাসে ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ
ভুলে গিয়ে জীবনের সব দ্বন্দ্ব
আমার হাত দুটি ধরে তুমি ভিজবে ......।।


নীল নীল দুটি চোখে অপলক দৃষ্টিতে
আমার পানে শুধু তুমি দেখবে ,
বৃষ্টি ভেজা অধরে আমার নামটি ধরে
তোমার কাছে শুধু ডাকবে............
হিম হিম বাতাসে রিমঝিম বরিষণে
ঝরে যাবে সুখের শ্রাবণ তোমার পদ চুম্বনে ...।।


নির্জন আহমেদ অরণ্য 

 

জীবনের লেনদেন


জীবনের লেনদেন 




ক্ষুদ্র এই জীবনে ছিল খুবই সামান্য কিছু চাওয়া

রোদ্দুর নীল আকাশ আর

প্রজাপতির ডানায় উড়ন্ত কিছু ভাবনা...

কিছুই হল না পাওয়া......

এই বন্ধ ঘরের অন্তরালে শুধু পরে রয়

এক বুক শূন্যতা ......।।

হায় জীবনানন্দ তোমার ভাবনায় এত টুকু মিথ্যে ছিলনা

তুমি বলেছিলে সব নদী একদিন ফুরায় জীবনের লেনদেন ;

সত্যি এক দিন চলে যেতে হয় জীবনের লেনদেন শেষে ...

শুধু জানতে ইচ্ছে করে তুমিও কি পেয়েছিলে

জীবনের আনন্দ ? নাকি

ধুপ হয়ে সারাটি জীবন গন্ধ বিলিয়ে গেছ নিরন্তর ?

আজও ধানসিঁড়ির বুকে শঙ্খচিল উড়ে কেঁদে কেঁদে

শুধু অপেক্ষায় নেই আর তোমার বনলতা সেন

তুমিও তো চলে গেছ মিটিয়ে জীবনের সব লেনদেন ।

হয়তো তোমারই মতো একদিন চলে যাব

এক বুক অভিমান নিয়ে ,

হয়তো কাঁদবে না কোন শঙ্খচিল এই বসুন্ধরায়

হয়তো রয়ে যাবে বাঁকি জীবনের অনেক লেনদেন

থাকবে না আর মুখোমুখি বসিবার কোন বনলতা সেন ।






নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আবেগি বিকেল






মিথিলা কি করছ তুমি ওখানে

ওই গোলাপ গাছটার কাছে

এমন সুন্দর আবেগি হলুদ বিকেলে ?

দেখনা একটু এইদিকে ফিরে

ঐ আকাশের পানে তাকিয়ে ...

কি সুন্দর আবীরের রঙে সেজেছে

আকাশটা এই অবেলায় ,

ঠিক তোমার মত অপরুপ লাগছে ;

যেমনটি তুমি সাজো

বাসন্তী শাড়ি আর কাঁচা ফুলের গহনাতে ......

আর...আর ঐ ক্লান্ত সূর্য টাকে দেখ একটু;

ঐ যে ঐ দিকে পশ্চিমে

বিদায়ের প্রহর গুনতে গুনতে

কেমন রক্ত বর্না হয়েছে

ঠিক যেন তোমার ললাটের ঐ সিঁদুরের তিলক

উজ্জ্বল দ্যুতি ছড়াচ্ছে ...

আহাঃ এস তো এখানে এস

আমার পাশে এসে বস খানিক ক্ষণ

আজ তোমার হাত দুটি ধরে

পাশা পাশি বসে পৃথিবীর এই

অপরুপ সুধা পান করবো দুনয়নে ; তার পর

তার পর চিলেকোঠায় দারিয়ে দুজনে হাত তুলে

বিদায় জানাব ঐ ক্লান্ত সূর্যটাকে ,

নিঝুম সন্ধ্যার আহ্বানে ...

মিথিলা......মিথিলা , কি হবে বল

ঐ গোলাপের গাছটায় এত জল ঢেলে

যদি এমন আবেগি সময় বৃথায় যায় চলে ...... ?

ঐ গোলাপের সুরভী কি আমায়

অতটা পাগল করতে পারে বল

যতটা উন্মাদ হই আমি

তোমার অঙ্গ সৌরভে ...... ?






নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

কতটা বদলেছি নিজেকে






আমি আর তোর জন্য পথ চেয়ে বসে থাকি না

নির্ঘুম মধ্য রাতে তোর বিহনে একা একা কাঁদি না ,

দেখ আমি কেমন করে বদলে গেছি

কেমন করে বেঁচে আছি দিব্যি তোকে ছাড়া ।

ঘামে ভেজা তোর ছেঁড়া চিঠি টেপ দিয়ে জোরা লাগিয়ে

এখন আর বুক পকেটে তুলে রাখি না ...

তোর ছবির ফ্রেমে জমেছে ধুলোর পাহাড়

তবুও এখন আর যত্ন করে মুছে রাখিনা ।

তোর হাতে লাগানো বাগানের ঐ পেয়ারা গাছটায়

জল দেইনি কতদিন...!

জল তেষ্টায় মরেছে হতভাগা অবলীলায় ,

পাষাণের মত শুনেছি কান পেতে তার আর্তনাদ

এখন তার বুকে উঁই পোকাদের বাসা !

দেখ আমি কেমন করে বদলে গেছি

আমি বাঁচতে পারি তোকে ছাড়া...!

হলুদ বিকেল অথবা পূর্ণিমা রাত এখন আর

আমাকে সুখের আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরে বলেনা ভালবেসে

কাছে আয় আমার আরও কাছে আয়

জুড়িয়ে নে প্রাণ ভরে তোর দুচোখের তৃষ্ণা ...

শ্রাবণের জল ঝরে যায় আঙ্গিনায় আপন মনে

কই আমাকে তো এখন আর কাছে ডাকে না

বলেনা ওরে আয় আমার শীতল জলে

স্নান করে মিটিয়ে নিয়ে যা তোর যত তৃষ্ণা ...

এখন আমি হয়েছি অন্ধ , মনের সব কটি জানালা

হয়েছে বন্ধ ...।।

ঝরে গেলো কোন ফুল , ভাঙল নদী কোন কূল

কিছুই আমাকে আজ আর ভাবায় না ,

দেখ আমি কেমন করে বদলে গেছি

একা একা তোকে ছাড়া কেমন করে বেঁচে আছি ।

অগোছালো ঘর আমার ,অবহেলায় পরে থাকে

যে খানে যা খুশি...

মৃত লাশের মত দগ্ধ হয়েছি কত রাত

তোর সৃতির চিতা বুকে ধরে , আর এখন ......

আর এখন

খুব বেশি একটা ক্লান্ত না হলে যাওয়া হয়না বিছানাটিতে

বালিশে মাথা রাখলে আজও পাই নিঃশ্বাসে

মৃত মানুষের শরীরে ছড়ানো কর্পূরের গন্ধ ,

দম বন্ধ হয়ে আসে , যমদূতের ছবি ভেসে ওঠে চোখে

আমি প্রতি রাতে মৃত্যুর মুখমুখি হই আজও

তোর প্রেমের সর্বনাশে !

তবুও দেখ আমি বদলে গেছি কেমন করে...

কি করে বেঁচে আছি তোকে ছাড়া ......।।






নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

নীল কষ্ট








এই যে নীল জামাটা দেখছ, যে টা আমি পরে আছি

এর ভিতরেই বুক লুকিয়ে রেখেছি ,

আর বুকের যে পাশটায় রক্ত জমে আছে নীল হয়ে

সেখানটায় আছে হৃদয় ... ।

যত নষ্ট কষ্ট সব এখানটায় পুষে রেখেছি

কোন একদিন এখানে ছিল প্রেম

ছিল প্রিয়ার জন্য সীমাহীন ভালবাসা ...

আর আজ .........

আজ ভালবাসা শুধুই কালের সৃতি

চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে

ভাঙাচুরা ধ্বংসাবশেষ ,

যার অনেকটাই সমাধি হয়ে গেছে

কষ্টের পাথর চাপায় ......।।

যে নীল শাড়িটা তুমি অঙ্গে জড়াও

বাতাসে উড়িয়ে দাও আঁচল

তার অন্তরালে খুঁজে দেখ কষ্ট পাবে কষ্ট .....

ছয়টি কুঁচির আড়ালে থাকে

ছয় রকমের কষ্ট ভাঁজে ভাঁজে ।

আমার কষ্ট গুলো আঁকড়ে থাকে

তোমার আঁচলের আলিঙ্গনে.........

নষ্ট কষ্ট মত্ত হয় এক অদ্ভুত খেলায়

বাতাসের সাথে কষ্টরা রঙ বদলায়

আর তোমাতেই মিশে থাকে নিরন্তর......।।

নীল হতে ঘন নীল হয় রক্তের কণিকা

কষ্টের তীব্রতা দিন দিন যায় বেড়ে

আর এই কষ্ট গুলো খুব যতনে তুলে রাখি

নীল জামার ভেতর যেখানে হৃদয় থাকে......

যেখানে নীল রক্ত জমাট বেঁধে আছে বুকে .........।।







নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

প্রয়োজন



এখন আমার ক্লান্তি বেলা , ফুরিয়ে যাওয়ার পালা
দিনে দিনে আমি যাচ্ছিও ফুরিয়ে...
একে একে ছেড়ে যাচ্ছে আমায়
কাছের অথবা দূরের সবাই......।
বিদ্রোহী হয়েছে আমার আপন অনেক কিছুই
দুই দুয়ারি হয়েছে মন ...
ঘুম গুলো পর হয়েছে সেই কবেই
ঘুন পোকাদের মত ব্যাধি
কুরে কুরে নিঃশেষ করে চলেছে ভেতর ।
যাও ছিল এক রুদ্র নীল আকাশ
তাও আজ আর আমার নেই
ধূসর ঘন আভায় ঢেকে দিয়েছে সময় ।
এখন শুধু একা একা পরে থাকা
চার দেয়ালে বন্দী হৃদয়ের যত বাসনা
জানালার ওপারে ছোট্ট পৃথিবী আমার
তবুও চোখ মেলে হয়না দেখা ।
কিসের দহন এই পাঁজর জুড়ে
কোন অভিমানে জল এসে উঁকি দেয় চোখের কোনে
কার বিহনে শূন্য বাসর
তুলসী তলায় পরে রয় রুপোর কলস ...
কেউ জানবে না কোন দিন
কেন এই অরণ্য বিদঘুটে রাতের নির্জনতাকে
করেছিল আপন,
কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে গেছে নিভৃতে দিনের পর দিন
সুখের জলসায় কেন নিজেকে ভাসাতে পারেনি
যন্ত্রণার ঘরে সঁপে দিয়েছিল কেন প্রাণ...
কেউ জানবেনা তা কোনদিন
তুমিত জান কি ছিল আমার চাওয়া
তোমাকে এই জীবনে কতটা ছিল প্রয়োজন ...।।


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

ঝাপসা হয়ে যায় চোখ









ঝাপসা হয়ে যায় ক্রমাগত চোখের দৃষ্টি

নিসুত রাত হয়ে যায় ভোর ,

তিমিরের বুক চীরে উঁকি দেয়

সদ্য স্নান করা হলদে সূর্যটা

আর আমার আকাশে এসে জড় হতে থাকে

অগণিত কালো মেঘের ভেলা

ধোঁয়াটে হতে থাকে আমার পৃথিবী

ঝাপসা হয়ে যায় ক্রমাগত চোখের দৃষ্টি ।

ভয় হয় খুব একা একা

শিরদাঁড়া হিম হতে থাকে নিজের অজান্তে

দেহের ভিতরে শুরু হয় কম্পন

হৃদয়ের ভেতরে জাগে সংশয়,

এই বুঝি শুরু হল কালবৈশাখীর ঝর

লণ্ডভণ্ড করে দিল নাকি আমার একমাত্র আশ্রয়

ঝাপসা হয়ে যায় ক্রমাগত চোখের দৃষ্টি ।

শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে জরিয়ে ধরি খুঁটি

তবুও যেন সে আমার আপন নয়

সে যেন আমার নয় ......

সে আমার হতে পারেনা

বুকের গভীরে অট্টহাসিতে মেতে উঠে

আবারও অজানা সংশয় ,

একা একা আমার বাড়তে থাকে ভয়

ঝাপসা হয়ে যায় ক্রমাগত চোখের দৃষ্টি ।

আমি তলিয়ে যাই উত্তাল সমুদ্র বক্ষে

আর করে যাই যন্ত্রণার বিষ পান নীরবে ,

জানালার গ্রিলে আশ্রয় নেয়া বুনো লতাটাও

তার এক হাত গ্রীবা দুলিয়ে দুলিয়ে উপহাসের ছলে

হেসে যায় নিরন্তর।।

আমি বাক শূন্য হয়ে যাই প্রচণ্ড ভয়ে , আর

ঝাপসা হতে হতে ভয়ার্ত চোখ হারায় দৃষ্টি শক্তি ।








নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

আমি যে ভুলে যাওয়ার মতো কেউ নই মিথিলা



আমায় মনে পরবে তোমার মিথিলা
আমি যে ভুলে যাওয়ার মতো কেউ নই তোমার জীবনে
আমার ভালবাসার কোন ক্ষয় নেই , শেষ নেই
আমৃত্যু তোমার হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হবে আমার নিঘাত প্রেমের দংশনে
চোখের কোন থেকে কাজল গড়িয়ে পরবে নোনা জলের ঢলে মনেরই অজান্তে
আমায় তোমার মনে পরবে , যে ভাবে হারানো অতিত মনে পরে
যে ভাবে মনে পরে জীবনের লেন দেন , পাওয়া না পাওয়া
সীমাহীন চাওয়ার তীব্র বাসনা ...
আমি যে ভুলে যাওয়ার মত কেউ নই তোমার জীবনে ।
আমার ভালবাসা স্বার্থ পরের মত ছিনিয়ে নিবে তোমার সুখের নিদ্রা
তোমাকে অস্থির করে তুলবে রাতের পর রাত
বিছানায় এপাশ ওপাশ করে তুমি শুধু আমায় খুঁজবে
না পাওয়ার যন্ত্রণায় বালিশের বুকে মুখ গুঁজবে তুমি,
দু চোখ থেকে নিরবে ঝরাবে অবিরাম বৃষ্টি ধারা
আমি যে ভুলার মত কেউ নই তোমার জীবনে
জীবনের চলার পথে বল সব কিছু কি ভুলে যাওয়া যায় ?
যখন আমি থাকবনা তোমারি পাশে তখন
কে রাঙাবে তোমার প্রথম সকাল ভোরের স্নান করা রবি কিরণ হয়ে ?
তাজা ফুল তুলে এনে কে ছড়িয়ে দিবে তোমার শিথানে
ভালবেসে কে ভাঙাবে তোমার অলস ঘুম বুকে জড়িয়ে ?
মেঘ কাল চুলে কে বুলাবে হাত সিঁথির পথ ধরে এত আদরে ?
ভেঙ্গে যাবে বুক জানি অজানা সংশয়ে ,মনের গভীরে শুরু হবে জলোচ্ছ্বাস
ভেঙ্গে যাবে চোখের বাঁধ , শুধু শুনবেনা সেদিন কেউ আর হৃদয় ভাঙ্গার আওয়াজ ,
আমি যে ভুলে যাওয়ার মত কেউ নই তোমার জীবনে
আমায় মনে পরবে তোমার জীবনের প্রতিটি বাঁকে ।
অলস দুপুরে কি বল মন বসে প্রেমের কোন গল্পের বই এ
অথবা হৃদয় ভাঙার কোন বিরহী গানের স্বরলিপি তে ?
হারানোর বেদনা তোমাকে তখন কুরে কুরে খাবে
তোমার অনুভুতি গুলো যে আমার জীবনের সাথে গুল্মের মত জরিয়ে আছে
অরণ্য ভালবাসার প্রয়োজন তোমাকে নিঃশেষ করে দিবে
তোমাকে কাঁদাবে মিথিলা , ভীষণ কাঁদাবে আমার নিঘাত ভালবাসা
যে ভাবে আমার দু চোখ তুমি ভাসিয়ে ছিলে অঝোর শ্রাবণে ,
আমি যে ভুলে যাওয়ার মত কেউ নই মিথিলা তোমার জীবনে
আমৃত্যু আমার ভালবাসা তোমাকে কাঁদাবে ।
শেষ বিকেলের গোধূলি এর আবীর রঙ এর মত
তোমার হৃদয় থেকে ঝরে যাবে রক্ত শ্রাবণ
তোমার মনে পরবে তখন কে ছিল তোমার এতটা আপন
কে পেত যন্ত্রণা ফুল তুলতে যেয়ে কাঁটার আঘাতে তুমি ব্যথা পেলে ,
কে সাজাত তোমার নির্জন সন্ধ্যা জোনাকির আলোতে
কে তোমার অধরে ভালবাসা একে দিত আপন অধরের পরষে ,
কে দোলা জাগাত তোমার হৃদয়ের গহীন অরণ্যে এত ভালবেসে
পূর্ণিমা রাতের রুপালি জ্যোৎস্না ভেজা ক্ষণে একদিন
কে ছিল তোমার পাশে ভালবেসে হাত দুটি জড়িয়ে ?
আমার ভালবাসা তোমাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষণে কাঁদাবে
যতটা আঘাতে আমার দু চোখ থেকে ঝরে যায় মিথিলা বৃষ্টি নিরবে ।


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

সৃতির শ্রাবণ






এখনো সেই আগের'ই মত জল ঝরে বরষার
এখনো মেঘ কেঁদে বেড়ায় নির্বিকার ,
অজানা ব্যথায় ভাঙ্গে বুক বার বার
কষ্টের যন্ত্রণায় অশ্রু ঝরায় নিরন্তর  ।
আজ আমি আর বৃষ্টি খুব কাছাকাছি
দুজনেই আজ দাঁড়িয়েছি মুখোমুখি ,
কত'টা কষ্ট মেঘ বইয়ে বেড়ায় দেখব বলে ......
অবশেষে বুঝলাম , 
আমাদের দুজনের মাঝে শুধু পার্থক্য এইটুকু
মেঘের কষ্ট গুলো ঝরে যায় বৃষ্টি হয়ে 
আর আমি, বুকের পাঁজরে খুব যতনে পুষে রাখি ।
মেঘ তুমি আর কেঁদোনাকো এ ধরায়
আমার চাতক মনের তৃষ্ণা মিটে না যে হায় ,
চলে যাও , চলে যাও শরতের মত করে
দূরে বহু দূরে ..... চলে যাও অজানায় ...।।
ধুসর কাশ ফুলে আমি রবো মিশে ...
সন্ধ্যার নিথর নদীর জলে নেশা করে
দারিয়ে রবো নৌকোর গলই হয়ে ঠায় ...
অথবা শঙ্খ চিল হয়ে পারী জমাবো অজানায় 
চলে যাও মেঘ তুমি আর কেঁদোনাকো এ ধরায়...।
বল কি পেয়েছ তুমি আর কি'ই বা পেয়েছি আমি ?
তবুও তোমার রিমঝিম ছন্দে কেন কষ্ট গুলো আড়াল করে দাও ?
চলে যাও , চলে যাও দূরে বহু দূরে
শুধু শুধু কেন তুমি সৃতির শ্রাবণে আমাকে ভেজাও  ?



নির্জন আহমেদ অরণ্য 


 

অনন্ত প্রেম









আমারে'ই বাসিয়াছ ভাল হৃদয়ের যত মাধুরী দিয়ে
শত জনমের ক্ষুধা তোমারই মনে
আমারেই কাছে পাইবার তরে
লুটায়ে পরে প্রেম আজি তাহার কঞ্চির রূপ লয়ে
আমারে'ই বাসিয়াছ ভাল হৃদয়ের যত মাধুরী দিয়ে ।
আমারে করিয়াছ শিশিরের কণা , তুমি সবুজ ঘাস হয়ে
কোন এক নির্মল ভোরে কৃষ্ণচূড়ার তলে
শুদ্ধ হবে তুমি স্নান করে আমারই জলে
খুলিবে দল পদ্ম কমল , পাখিরা গাহিবে গান
প্রণয় এর উন্মাদ জোয়ারে ভাঙ্গিবে হৃদয়ের যত বাণ ।
ভরা পূর্ণিমার জ্যোৎস্না গিলে তুমি চাঁদকে করেছো ম্লান
আমারে দিয়াছ খুলিয়া হৃদয়ের সদর দ্বার ,
চন্দ্র-ভুক অমাবস্যার তিমির রজনী জাগি
তোমারই নয়নে গাঁথিয়া আপন দৃষ্টি প্রেমের সুধা করে যাই পান
ভালবেসে আমারেই সঁপিয়াছ সখী তোমারই প্রাণ ।
শরতের নীলে মেঘ হয়ে ভেসে যাও , কাশবন ছায়ায় ঢেকে দাও
শেষ বিকেলের আবীরে আমারে রাঙাও
কত রূপ লয়ে কত শত ছলে আমাতেই মিশে আছ জীবন হয়ে
কত নিশি ভরিয়াছ তোমার নিঘাত ভালবাসা দিয়ে
আমারে'ই বাসিয়াছ ভাল হৃদয়ের যত মাধুরী দিয়ে । 





নির্জন আহমেদ অরণ্য 

 

চাতক মন





আমি এসেছি , আমি এসেছি বৃষ্টি হয়ে
এই বরষায়......
তোমার উঠোনে অঝোরে ঝরবো বলে
আমি এসেছি ফিরে তোমার কাছে
এই তমসায়......

আমায় চিনতে পেরেছ ?
আমি ,
আমি সেই ছিন্ন ভিন্ন মেঘের মালা ...
যে একদিন তোমার শরতের আকাশের পথ ধরে
ভেসে ... ভেসে হারিয়ে গিয়েছিল
দূর অজানায়...
আমি সেই ছন্নছাড়া মেঘ ,
আমি সেই ক্লান্তিহীন ভেসে চলা মেঘ......

অনেক পুড়িয়েছি তোমায়
চৈতালি দিনে...
তোমার উর্বশী মন কে
করেছি চৌচির...
তোমার ভরা যমুনাকে করেছি
জল শূন্য ,
দিয়েছিলাম বিষণ্ণ বিকেল
আগুন ঝরা রাত......

ক্ষমা করো ,
আমায় ক্ষমা করো শেষ বারের মতো...

জানি তোমার ভালবাসা পাবার
সামান্যতম অধিকারটুকু নেই , আজ আর আমার...
তবুও ,
তবুও তুমি এই বরষায়
প্রথমও কদমের সুরভীটুকু নিও...
যত ঘৃণা ,দুঃখ , কষ্ট না হয় তুমি
আমার শূন্য আঁজলায় ভরে দিও......

একা একা আর বসে থেকনা ঘরে
এই মন খারাপ করা দুপুরে...
বাহিরে এসো
চাতকের তৃষ্ণা ভরা বুক
আজ তৃষিত করো
আমার শীতল জলে......

শালিক জোরা দেখো আজ এসেছে নীড় ফেলে
বসে আছে কৃষ্ণচূড়ার ডালে ,
বৃষ্টির জলে স্নান করবে বলে
যত নষ্ট কষ্ট ধুয়ে শুদ্ধ হবে বলে...
ফসলের ক্ষেত খাঁ খাঁ করে
আবার উর্বশী হবে বলে ,
ক্ষত বিক্ষত বুক নরম পলির অতলে
সমাধি দেবার তরে...

চলে এসো ,
চলে এসো বৃষ্টির কাছে
তোমার চাতক মন কে ভিজাবে বলে ,
শূন্য যমুনাকে নতুন জলে পূর্ণ করতে
নিজেকে সুখের জয়ারে ভাসাবে বলে ।


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

হায় পথিক




একা একা পথ চলতে চলতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পরে তনু ও মন
পিচ ঢালা কালো পথ কে দুপুরের তীব্র রোদ্দুরে মনে হয় প্রতিবিম্ব ,
অথবা ,
অথবা....মনে হয় যেন শান্ত শীতল এক যমুনা ...
লাউ এর কচি ডগার মতো লিক লিক করে বেরিয়ে আসে শুষ্ক গ্রীবা
সবই আলো ছায়ার খেলা...
পথিকের তৃষ্ণা মিটে না ,
তবুও পাঁজরের অতলে তৃষ্ণাকে দিয়ে সমাধি
পথিক হেঁটে চলে তার অন্তবিহীন পথে ।
যত প্রেম যত পিছুটান সব পেছনে ফেলে
পথিক এগিয়ে চলে নিরুদ্দেশে ,
হায় পথিক খুঁজে কি পাবেনা কখনোই পথের শেষ।
পিচ ঢালা পথ ফেলে নেমে আসে মেঠো পথে.....
পথিক থামে না , পথের ক্লান্তি নেই তার ...
শুধু চলতে জানে সে ।
যেমন সোনালী ডানার চিল গুলো শুধু নীল আকাশে উড়তে জানে ,
পথিক হেঁটে চলে মেঠো পথ ধরে ...
সবুজ মাঠ , ক্ষেত অথবা হলুদ সর্ষের গালিচা ফেলে
এগিয়ে যায় অনির্দিষ্ট উদ্দেশে ।
এক সময় ক্লান্তির ভার সইতে না পেরে বীর দর্পে দারিয়ে থাকা
সূর্যটাও ঢলে পরে পশ্চিমে ,


(পৃথিবীর ঘূর্ণনের কাড়নে দিবা রাত্রির সৃষ্টি ,সূর্য তার আপন কক্ষে দণ্ডায়মান । শুধু লিখার উদ্দেশে ঐ ভাবে বলা । দুঃখিত )

শুধু পথিকের ক্লান্তি নেই,
তন্দ্রা নেই , সুখ নেই ।
সন্ধ্যার শাঁখের ধ্বনির মতো ঝিঁঝিঁ পোকারা শুরু করে দেয়
সন্ধ্যার আগমনী গান ,
নির্জনতার চাঁদরে ঢেকে যায় চঞ্চল এই পল্লব ।
পাখিদের মতো যখন সবারই নীড়ে ফিরার তাড়া ঠিক তখন ও
পথিক রয়ে যায় নির্জন অরণ্যে একা একা ।
হায় পথিক , ঘর নেই , পিছুটান নেই, হৃদয়ের গহীনে প্রেম নেই....
শুধু এক বুক কষ্ট নিয়ে তার পথ চলা ,
আ'মৃত্যু অপূর্ণ বাসনা...
পথিক জানে পথের শুরু আছে কিন্তু নেই কোন শেষ সীমানা ।
জোনাকিরা আলো জ্বেলে হাল্কা ডানায় উড়ে যায় ঝোপের ওপারে ,
মাঝে মাঝে রক্ত কণিকা শিথিল হয়ে পরে বুনো প্যাঁচার রবে ......
বাঁশ জাড়ে বাঁশ পাতারা দেয় শাণ হালকা বাতাসে ,
তিমির তপনে ভেসে থাকে পূর্ণিমা চাঁদ ।
পথিক মুগ্ধ নয়নে গ্রাস করে যায় রুপালী জ্যোৎস্না ...
অজান্তে সুর তোলে মনের বীণায় ,
কণ্ঠে ভেসে আসে চন্দ্রলোকের গান
পথিকের ভরে যায় প্রাণ ।
ধীরে ধীরে চাঁদটাও ক্ষয়ে যেতে থাকে
পথিকের কণ্ঠ ও হয়ে পড়ে শিথিল ,
এক সময় থেমে যায় পথিক ,
ঐ আধ ভাঙা চাঁদটার মতই ক্লান্তি ধীরে ধীরে
গ্রাস করে পথিকের স্নায়ু গুলো ।
ঢলে পরে পথিক ছায়াবীথি তলে , ঘুমের নেশা পান করে ।
এই অরণ্য নির্জনতা ভেদে যখন উঁকি দিবে সোনালী কিরণ ভোরে ,
পথিকের ক্লান্ত চোখ ফিরে পাবে তখন প্রাণ ।
নেতিয়ে পরা স্নায়ু গুলো সজাগ হবে নতুন উদ্যমে
পথিকের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাবে পথের পড়ে ,
আবারো শুরু অন্তবিহীন পথ চলা ।
পথিকের কি বল এই
নির্জন অরণ্যের কথা মনে রবে ?


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

জীবনের চাহিদা




জীবনের চাহিদা



ঘুমন্ত নগড়ির নাগরিকদের বলছিনা

নিজেকে বলছি, বলছি নিজের মনকে...

আবচেতন মন আমার

শুধু আকাঙ্খার স্বপ্ন বুনে চলে....

তন্দ্রা গুলো এই নির্জনতায়

উপহাসে মেতেছে..

চোখের কর্নিশে তাদের

ক্লান্তিহীন অপেক্ষা প্রহর গুনা ,

আর মন আমার বিভিষিকা ময়

ধূসর প্রান্তরে হেটে চলে....

ক্লান্তির ভারে নুয়ে পরে শীর ক্ষনে ক্ষনে

ভাবনারা আমার নুয়ে পরা শীর তুলে ধরে

আমাকে আমার পুরোনো অতিত এ টেনে নিয়ে চলে

আশার প্রদ্বীপ জ্বেলে পথ দেখিয়ে নিয়ে চলে

গ্রহন লাগা সেই সুদূরে.....

আমার অশরিরী আত্মা আমাকে ফেলে চলে যায়...

শূন্য দেহটা শুধু পরে রয়,

মৃত্যুর তৃপ্ততা আমার সর্বাঙ্গে

অবুজ মন আমার তবুও আজো

জল রঙে জীবনের ছবি আকে.....

ধিরে ধিরে রাতের অন্ধকার কেটে যায়

কেটে যায় যত নিরবতা ,

ব্যস্ততার মায়াজালে বাধা পরে জীবন

শুধু আমি পরে থাকি আধারে

জীবনের সব চাহিদা ভুলে...



নির্জন আহমেদ অরণ‌্য

 

আমার সংসার

আমার সংসার

সংসার আমার
ভাঙা গড়ার খেলা নিরন্তর....
মাঝে মাঝে মনেতে উঁকি দেয়
হারানো সেই সব সোনালী অতীত,
শিশির ভেঁজা সকাল, হলুদ বিকেল ...

আজ ঝরে পরে কষ্টেরা
কৃষ্ণচূড়ার মতো....
ভাঙাচুরা স্মৃতি গুলোকে
জোরা লাগাতে করি ব্যর্থ চেষ্টা
দিনের পর দিন রাতের পর রাত...

কালো মেঘে ছেঁয়ে যায়
আমার আকাশ.....
সংসার আমার তলিয়ে যায়
বিদঘূটে রাতের অন্ধকারে,
তল থেকে অতল গহিনে...

আবারো সকাল আসে
আসে ভিষন্ন দুপুর...
ক্লান্ত পায়ে উঁকি দেয় রোদ্দুর
খেলা চলে আলো ছাঁয়ার
আমার খোলা জনালায় ......

ইচ্ছের ঘোড়ায় দেই লাগাম
স্বপ্ন গুলোকে যত্ন করে তুলে রাখি সিন্দুকে ,
স্মৃতির ডায়েরী করে ফেলি বন্ধ
পাছে আমার সংসার চীরতরে
হারিয়ে যায় অন্ধকারে...



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

দুই দূয়ারী মন


দুই দূয়ারী মন


দুই দূয়ারী মন আমার
দুই দূয়ারী মন তোমার...
ভাঙা গড়ার খেলা নিরন্তর,
ইচ্ছে গুলো প্রজাপতি
নীল আকাশের ঘুড়ি
উড়াই আবার উড়াই না...
স্বপ্ন গুলো তোমার
মন পবনের নাও
ভাসাও আবার ভাসাও না.....

স্বর্ণ লতার মত আজ বিশ্বাস
পরগাছা হয়ে বেড়ে চলে দিনের পর দিন,
চৈতালী ক্ষড়তাপে আজ বিশ্বাসেরা মলিন...
ঝরে পরে ঝরা পাতার মতো
হৃদয় ক্ষত বিক্ষত হয় কেউটের ছোবলে...
মনের দেয়ালে অবিশ্বাসের পেরেক ঠুঁকে
ঝুলিয়ে দাও ভালোবাসা,
কষ্টের যাতাকলে পিষ্ট হয়ে
নির্বাসিত হয় যত আশা নিরাশায়......

দুই দূয়ারী মন আমার
দুই দূয়ারী মন তোমার
ভাঙা গড়ার খেলা নিরন্তর
যতই করি আপন হয়ে যাও পর....
হৃদয়ের চোরাবালিতে তলিয়ে যায়
আমার যত আবেগ ,
তবুও পদ্ম পাতার মতো ভেসে থাকে
এক রত্তি নিঘাত ভালোবাসা...
জন্ম দেয় নতুন করে মনের গভিরে আশা'র...।



নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

একান্ত নিজেস্ব কিছু চাওয়া




একান্ত নিজেস্ব কিছু চাওয়া





বিদর্ভ নগরিতে আমার বসবাস
আমার আপন বলতে শুধু
আমি আর কিছু উপহাস....
কখনও শ্রাবণের জলে ভিজেঁ হয়েছি
কানায় কানায় পূর্ণ ,
কখনও বা প্রচন্ড ক্ষড়তাপে পুড়ে
তামাটে বদন...
কখনও অধিক সুখে ভেসেছি
মেঘের ভেলায়....
কখনও প্রিয়জনের দেয়া আঘাতে
হয়েছি চূর্ণ-বিচূর্ণ.....
জীবনের প্রতিটি বাঁকে
এঁকে গেছে সুনিপূন ভাবে আল্পনা
নির্বিকার বিষাদ.....
খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত হয়েছে এই মন
কতোবার ,একটু অবকাশ.....
যতবার চেয়েছি নীল আকাশ
পেয়েছি শুধু কালো মেঘ...
আমি আবারো ভিঁজতে চাই
অজড় বৃষ্টিতে...
আমাকে অফুরন্ত বৃষ্টি দাও....
আমি পুড়তে চাই আবারো
চৈতালী আগুন ঝরা দুপুরে
আমায় রোদ্দুর দাও....
আমায় আরো নির্ঘূম রাত দাও
রুপালী জ্যোৎস্না ভেঁজা প্রহর দাও...
ভিষন্ন দুপুর দাও
আমায় ক্লান্তিহীন পথ দাও
আমায় বাঁচতে দাও আরো কিছুদিন
নীল আকাশে উড়তে দাও ডানা মেলে
আমায় বাঁচতে দাও আমার মত করে ...।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

রাঙা প্রভাত


রাঙা প্রভাত


ওরে কে দিলো আজি
মোর প্রভাত রাঙায়ে....?
কে দিলো এই রবি কিরণ
কাহার সুরে আজি
পাখিরা গাহিলো গান.....?
কোন সে পরষে
ফুলেরা মেলিলো দল...?
কে দিলো আজি মোর
প্রভাত রাঙায়ে....
কে দিলো ঢেলে তার প্রাণ...?
নিঝুম নিশিতে যে ছিলো মোর
স্বপনের দোসর ,
সেকি দিলো মোরে আজি
ফুলে ফুলে সাঁজায়ে.....?
কে দিলো আজি মোর
প্রভাত রাঙায়ে.....
কে দিলো........?
কাহার কংঙ্কনে এত ঝংকার
কাহার নুপূরের ছন্দে এত মধু
হরিলো মোর হৃদয়...
কে বাঁধিলো মোরে যতনে
আপনও হৃদয়ে প্রনয়ে...?
কে দিলো আজি মোর
প্রভাত রাঙায়ে.....
কে দিলো.....?
কে আজি মোর আঁধার গগনে
ঢেলে দিলো নীল..?
কাহার অঁধরের হাঁসিতে আজি
এই পল্লব গেল ভাসি...
তাহার চরনে মোর প্রেম
আজি দেব উজার করি...।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

তোমাকে ভালোবাসি


তোমাকে ভালোবাসি


তোমাকে ভালোবাসি
হৃদয় আছে বলে.....
তোমাকে কাছে পেতে চাই
আবেগ আছে বলে....
তোমাকে ভালোবাসি
মৃত্যুর মুখোমুখি দারাতে নয়
তোমাকে ভালোবাসি
সুখের সাগরে ভাসতে....
তোমাকে ভালোবাসি
তোমার কাছা কাছি আসতে
তোমাকে ভালোবাসি
স্বপ্ন গুলো সাজাঁতে,
এলো মেলো ভাবনা গুলোকে
পরিপাটি করে গুছাতে....
তোমাকে ভালোবাসি
অন্তহীন পথে চলতে,
হাত ধরে পাশাপাশি
ক্লান্তি হীন ভাবে হাঁটতে....
তোমাকে ভালোবাসি বলে
কষ্ট গুলো রাখি গোপনে তুলে,
সুখের হাঁসি এঁকে দিতে চাই
সহসা তোমার ঐ অধঁরে.......




নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

আবারো স্বন্ধ্যা নামুক



আবারো স্বন্ধ্যা নামুক



আবারো স্বন্ধ্যা নামুক
রোদ্দুর ঢেঁকে দিয়ে.....
আবারো বৃষ্টি নামুক
আকাশের বুক চিরে....
হাসনা হেনার ভেঁজা গন্ধে
নিঝুম রাত আসুক....
মুখরিত এই জীবন
সিমাহীন সুখের স্রোতে
অজানায় ভাসুক....
আবারো স্বন্ধ্যা নামুক....
পৃথিবী আধাঁরের চাঁদরে ঢাঁকুক
দ্বীপালী না হয় আজ
নাইবা জ্বলুক......
ঝিরি ঝিরি শ্রাবণ
অঝড় ধারায় ঝরুক.....
অনুভবের আলিঙ্গনে তোমার
অনুভুতির ছোঁয়া থাকুক...
নিঝুম স্বন্ধার
নির্জন এই ক্ষনে আমায়
তোমার ভালোবাসা ঘিরে রাখুক.....
আবারো স্বন্ধ্যা নামুক...।




নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অসমাপ্ত ভালোবাসা


অসমাপ্ত ভালোবাসা


কেমন আছ তুমি ?
হুম ভালো.....
দেখেছ আজকের বিকেলটা কতো সুন্দর ?
সত্যিই অপরুপ ....!!!
খুব সুন্দর লাগছে আজ পৃথিবীটা...
তুমিকি জানো আজ কেন সব কিছু এতা মধুময় ?
না..! তুমি বলো আমায়,
কেন আজ মন হারাতে চায় অজানায়...
হে বলবো তোমায়..আজ সব'ই বলবো
কেন আজ বাতাসে ভেঁজা গন্ধ ,
ফুলেরা মেলেছে দল এই অবেলায়....
হে বলো আমায়,খুব শুনতে ইচ্ছে করছে আমার....
যদি এখন তোমার কানে কানে আমি
পৃথিবীর সবচাইতে মধুর কথাটি বলি,
তুমি কি আমায় তার উত্তর দিবে....?
হুম দেব,কেন দেবোনা বলো তোমায়...
যদি বলি ভালোবাসি তোমায়.............
তুমিও কি আমায় তাই বলবে....?
ভালোবাসি , অনেক ভালোবাসি..
সত্যি.................
সত্যি সত্যি সত্যি................
আমায় কি কখনো ছেরে চলে যাবে....
দুরে বহুদুরে......?
না..কখনই যাবোনা দুরে
তোমার ছাঁয়া হয়ে রবো ভালোবেসে....
যদি কখনো হারিয়ে যাই আমায় কি মনে রাখবে ?
তোমাকে কখনও হারাতেই দেবোনা
সারাটি জীবন বেঁধে রাখবো ভালোবেসে......
আমার প্রথম সকাল রাঙাতে কি তুমি থাকবে ?
আমার স্বপ্ন গুলো কি তোমার চোখে তুলে রাখবে ?
ভোরের পাখি হয়ে আসবো তোমার ঘুম ভাঙাতে....
নীল প্রজাপতি হয়ে উড়বো তোমার স্বপ্নের আকাশে....
আমার কষ্টের প্রহর গুলো ভুলে থাকতে কি আমায়
তোমার বুকে একটু ঠাঁই দেবে
আমায় জড়িয়ে রাখবে তোমার ভালোবাসার চাঁদরে ?
হুম রাখবো ....
রাখবো রাখবো রাখবো
বলো তুমি ছারা আর কে বা আমার আছে......?
আমার চোখে চোখ রাখোনা একটু তুমি....
পারছিনা প্রিয়তম....
আমি যেন অষাঢ় হয়ে যাচ্ছি....
লজ্জায়.......
আমি তোমার যত লজ্জা তুলে নিচ্ছি আমার অধঁরে
তামার চোখে আমার অধঁরের উষ্ণ আলিঙ্গনে....
তুমি কি অনুভব করতে পারছো....?
হুম পারছি......
তোমার অধর আমাকে শিহরিত করছে ক্ষনে ক্ষনে.....
আমি ভেসে যাচ্ছি তোমার ভালোবাসার ভেলাতে...
ভেসে চলো.....
যদি আমি ক্লান্ত হয়ে যাই ,হাল ছেরে দিই মাঝ নদীতে..?
আমি তোমায় ধরে রাখবো শক্ত হাতে
ভালোবেসে হৃদয়ের গোপন ঘরে.......
চলো সবুজ ঘাসে শুয়ে নীল আকাশ দেখি
তোমার হাতে হাত রেখে.........
চলো ..........
কি সুন্দর আকাশ তোমাদের,ছেরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছেনা
অথচ জীবনের অনেকটা সময় কাটালুম
অন্ধকার ঘরে ,আমার নিজেস্ব ভুবনে...
ছেরে যেওনা..
এখানেই থেকে যাও আমার কাছে......
তুমি যদি আমায় যেতে না দাও বলো
আমার কি স্বাধ্য আছে যাওয়ার এ মধুরেণ ফেলে...
সত্যি বলছ তো যাবেনা আমায় ছেরে.....
হুম সত্যি বলছি প্রিয়তমা তোমায়..যাবোনা কোথাও
যেওনা.....
তুমি কেন এতো দেরি করে এলে ,কেন আরো আগে এলেনা ?
আরো আগে এলে জীবনটাকে সাঁজাতে পারতুম কতো সুন্দর করে...
হুম তাই ভাবছি আমি....
কেন আরো আগে এলেনা আমার কাছে....!




নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

একদিন তুমি আর আমি


একদিন তোমাকে আমি 

কাঁচা ফুলে সাজাঁবো...

খোঁপাতে পরাবো 
কাঠ বেলীর মালা,
কানের পাশে গুজে দেবো
রক্ত করবী.....
মেহেদী রাঙা হাতে
বকুল ফুলের কঙ্কন
আর আলতা রাঙা পায়ে
পরাবো নূপুর.......
শেফালী ফুলের এক জোড়া
দুষ্ট দুল.......আর
হাসনা হেনার নাক ফুল......
লাল পেড়ে সাদা শাড়ি
পরবে তুমি........
আর আমি,
আমি পরবো নীল জামা ,
ঠিক আকাশের মতো নীল....
তার পর নদী তীরে
হাতে হাত রেখে
ছুটো ছুটি কাশবনে...........
শেষ বিকেলের বাসন্তী আকাশ
জানান দিবে ঘরে ফেরার কথা.
কিন্তু ......
কিন্তু আমরা ফিরবোনা....
অবিরল গল্প করে যাবো
চোখে চোখ রেখে...........
এক সময় .......
শান্ত নিথর ঘুমিয়ে পরা
নদীর জলে ঢেউ তুলবো
ঢিঁল ছুড়ে......
দু চোখ মেলে দেখবো
পাখিদের নীড়ে ফেরা......
সেই দিন হবেনা আর
আমাদের ঘরে ফেরা......... ।



নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

অধঁরা এবং আমার ভালোবাসা


অধঁরা এবং আমার ভালোবাসা









যে অরন্য আধাঁর কে
আপন করে নিয়েছে তাকে কি
আজ চিনতে পারছো...অধঁরা ?
তোমাকে হারিয়ে আধাঁর কে
করেছি আপন...........
কিন্তু সেখানে
মায়াজাঁলে বাঁধা পরে আছে
অনন্ত নীল আকাশ....
শুধুই আলেয়ার লুকোচুরি...
অধঁরা কান পেতে শুনো
যেভাবে কান পেতে শুনা যায়
শাঁখের গায়ে সমু্দ্রের গর্জন...
সে ভাবে কান পেতে দেখ
এই অরণ্যের বুকে...
যেখানে হৃদয় থাকে....
কি... শুনতে পারছো...?
এক ভয়ানক গর্জন....
কেউটের মতোই ফুসে ওঠে
ক্ষনে ক্ষনে.....
ভালোবাসা তো এই অরণ্য জীবনে
এক মরিচিকা......
আর আমি........
আমি তো এক তৃষ্ণার্ত মরুচারী
ক্লান্ত....বড় বেশি ক্লান্ত....
অধঁরা ভালোবাসার মানে
আমি জানিনা..
ভালো লাগে অনেক কিছুই
তবুও মুখ খুলে বলতে পারিনা..
জানিনা কেন যেন
এক অজানা সংসয়
আমাকে তিলে তিলে
আকড়ে ধরেছে অক্টপাসের মতো...
হারানোর ভয়....
তাই ভালোলাগা গুলোকে
গুটিয়ে সুটিয়ে বন্ধ করে রাখি
মনের গোপন ঘরে....
বলতেও পারিনা ..
বোঝাতেও পারিনা.....
বুকের ভেতরে
আজ কাল তারা বিদ্রহ
করছে আমার মনের বিগ্রহে.......
আর অবচেতন মন
আমাকে ঠেলে দিচ্ছে
অন্ধকারে............
আমি হারিয়ে যাচ্ছি.
আমি তলিয়ে যাচ্ছি....
জানো অধঁরা.....
মনের ভেতরে যে,স্বপ্ন থাকে
সেটা ভেঙ্গে গেছে অনেক আগেই.....
জোরা লাগাতে লাগাতে আমি ক্লান্ত
কিন্তু স্বপ্ন গুলো আর জোরা লাগেনি
এলোমেলো ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে
এ কোন সে কোন জুড়ে......
আর তুমি আমায়
ভালোবাসার কথা বলো.......!
যেখানে অনুভূতি গুলো
বরফ শীতল হয়ে জমে আছে
সেখানে গলনের সৃষ্টি হয়েছে আজ কাল,
বেশ অনুভব করতে পারি....
এক প্রবল স্পৃহা আমাকে টেনে নিয়ে যায়
তোমার কাছে......
এর নাম কি দেব আমি...?
ভালোবাসা .......নাকি
ভোগের আদীম্য নেশা....?
একটা নাম না হয় তুমি ই
দিয়ে দিও........
এ সম্পর্কের নাম দিতে গিয়ে
যে সুতোয় ফুল গেথে গেথে
রুপ দিতে গিয়েছিলুম মালার,
সে সুতো বার বার ছিড়ে গেছে.......
ফুল গুলো শুকিয়ে গেছে...
হয়তো তুমি কখনো বুঝবেনা
কি ছিলো অরণ্য বাসনা...
কোন দাহনে ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়
এই অরণ্য, দিনের পর দিন
রাতের পর রাত.......
তবুও তোমার সামনে কখনো
ভালোবাসার অধিকার নিয়ে
দারাবোনা.............
একা ..একা একদিন এভাবেই
হারিয়ে যাবো ঐ নীল আকাশের
অন্তরালে........
তার পর বিষাদের কালো মেঘে ঢেঁকে যাবে
নীল আকাশ..........
বৃষ্টি হয়ে ঝরে মিলিয়ে যাবো ধরাতে....।


নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

চলে যাচ্ছি


চলে যাচ্ছি

আমি চলে যাচ্ছি............
আমি চলে যাচ্ছি তোমার যতো বাঁধন
ছিন্ন করে.....
ঝর উঠেছে আজ .....
মনের শান্ত নিথর নদীতে ঝর উঠেছে...
উত্তাল ঢেউ আর মাতাল স্রোতের গ্রাসে
ধিরে ধিরে হারিয়ে যাচ্ছে
তোমার ভালোবাসার বেলাভূমি......
শুধু তুমি জানলেনা ...
তুমি জানলেনা কতোটা দহনে পুড়ে গেছে মন
ভেঙ্গেছে কতোটা আঘাতে...
আঘাতের পর আঘাতে ক্ষত বিক্ষত
টুকরো টুকরো ,ছিন্ন ভিন্ন... আহত হৃদয়...
তুমি বুঝলেনা....
অথচ........
অথচ হাত বাড়ালেই ছিলো
তোমার চোখের সামনে পরে এক শান্ত যমুনা...
অপেক্ষার পর অপেক্ষা করে করে
শুকিয়ে গেছে চৈতালী কষ্টে....
আবার বৃষ্টির কাছ থেকে জল ধার করে
নিজেকে করেছে কানায় কানায় পূর্ণ.....
তুমি নতুন জলে স্নান করবে বলে,
আশায় আশায় কতো যে, বসন্ত গেছে চলে..
শুধু তুমি আসলেনা......ভালোবাসলেনা...
তোমার ভালোবাসা পাবার জন্যে
ভেসে গেছি কতো দূরে..........
তুমি বুঝলেনা..............
তাই আজ তোমার যত ঋন শোধ করে
চলে যাচ্ছি তোমার কাছ থেকে অনেক দূরে...
তুমুল ঝরে লন্ডভন্ড হচ্ছে তোমার
ফেলে যাওয়া স্মৃতি...ক্ষয়ে যাচ্ছি আমি...
হারিয়ে যাচ্ছি চীরতরে
গভির থেকে গভিরে
অতল তলে.............।



নির্জন আহমেদ অরণ্য