সোনালী ফসল


সোনালী ফসল


নিওম নিতী ক্ষনার বচন
সবলের আঘাতে দূর্বলের গায়ে
অ-দৃশ্য পচঁন......
মাঝ খানেতে পরে আমি
সদাই করি আপন আপন.....!
কে খাচ্ছে কে খাচ্ছেনা
কে অধিকার পাচ্ছে কে পাচ্ছেনা
সে খবর কেউ রাখছেনা,
নেতার কথায় ভিষন ব্যথা
দেয়া কথা সে মানছেনা
আমি ভেবে আর করবো কি
যে বাবার সে ভাবছেনা...!

প্রতিটি মানুষের ভেতরে
আরেকটি মানুষের বসোবাস ,
না খুঁজিয়া তারে হইয়ো না নিরাশ
ভুলিয়া আপন আপন ,করো হে
নিজের সুপ্ত বাসনার বিকাশ...
খুঁজিয়া দেখো তুমি
নিজের ভেতরেই পরে আছে
এক আবাদি ভূমি....
বিশ্বাসের লাঙ্গলে করিয়া চাষ
বুনে যাও সততার বীজ,
একদিন তোমার ঘরে উঠবেই
সোনালী ফসলের সম্ভার...।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

আমি বাংলায় কথা বলি


আমি বাংলায় কথা বলি


আমি বাংলায় কথা বলি
অমর একুশের দিনে আমি
কালো রিবন হাতে বেঁধে
মুখে হাঁসি রেখে শোকের সাগরে ভাসি
আমি বাংলায় কথা বলি......!
প্রভাত ফেরীর মিছিলে আমি
বড়ো ফুলের তোরা হাতে
বীর দ্বর্পে আগে আগে চলি,
শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আমি
ভাষা সৈনিকের ঋন শোধ করি
আমি বাংলায় কথা বলি......!
ভাষনের জোয়ারে আমি
জনতা মুখরিত করি
নিতী কথা বলে আমি
বাহবা কুড়াই ভুরি ভুরি
আমি বাংলায় কথা বলি....!
একুশের এই দিনে আমি
বাংলা ভাষার কথা মনে করি
সারাটা বছর আমি সেই কথা থাকি ভুলি
বাক্য বিনিময়ের মাঝে মাঝে
ভিন্ন ভাষার ব্যবহারে গর্ব বোধ করি
আমি বাংলায় কথা বলি.....!


নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

শিশির ভেঁজা প্রেম



23 February 2011, 08:25:03

শিশির ভেঁজা প্রেম


এ রাত হলো ভোর
ভাঙ্গিলো কি তোমার ঘুমঘোর..?
পাখিরা যায় নাচিয়া গাহিয়া
বাগানে ফুটেছে ফুল
সূরভিত সৌরভ ছড়াইয়া.....
এ মধুরেন যায়গো চলিয়া
দেখে নাও দু নয়ন ভরিয়া,
কুয়াঁশার বাঁধ ভেঙ্গে আঙ্গিনায়
সোনালী কিরন ঘাসের বুকে
শিশিরের মুক্তা বুনে যায়...
তুমি কোথায় এ লগনে..?
এ লগ্ন যে বৃথা চলে যায়.....!
আলতা রাঙ্গা নগ্ন পায়
চলে এসো আঙ্গিনায়
মুক্তার বনে আজ হাড়াই
হাতে হাত রেখে দুজনায়.....!
শিশির ভেঁজা শিউলি ফুল গুলি
পরে আছে শিউলি তলায়,
চলোনা আজ সে ফুল তুলে
মালা গাঁথি রঙিন সুতায়....।
তুমি কোথায় এ লগনে....?
এ লগ্ন যে বৃথা চলে য়ায়..।


নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

কেনো ফিরে এলে

কেনো ফিরে এলে

আজ আবার এতো দিন পরে ভুল গুলো খুজে ফিরো কোন ভুলে...?
একদিন যা তুমি ভুলে ছিলে নিজেরই ভুলে........
এতোদিন পর তুমি কেনো ফিরে এলে, বলো কেনো ফিরে এলে...
কিছু কি তুমি ফেলে গিয়েছিলে মনেরই ভুলে....?
তবে কি এসেছো তুমি আবারো এই মনটাকে ভাংতে....
বলো এক মন আর কতোবার তুমি ভাংবে.........?
যে পথ একদিন তুমি ছেরেছিলে আপন মনে
বলো আজ আবার কি ভেবে ফিরে এলে....কেনো ফিরে এলে..?
নাকি এসেছো দেখতে তোমার বিহনে এ বুকে
কতোটা অনল দাউ দাউ করে জ্বলে....
আমিতো আছি আগেরি মতো শুধু ঘুম নেই দুটি চোখে
শ্রাবনের জল গুলো আমাকে এখন তিলে তিলে পোড়ে.......
বলো আজ আবার কি ভেবে এলে ফিরে....
যে সুখের আশায় তুমি এ মন ভেঙ্গেছিলে
বলো সে সুখের পরষ কি তুমি পেয়েছিলে...?
চাতকের মতো আমি না পাওয়ার তৃষা এ বুকে রাখি পুষে
সুনীল আকাশের মতো আমি নীল কষ্ট গুলো আছি ধরে..............
সাগরের মতো নোনা জল জমে আছে চোখের কোনে...
মেহেদী পাতার মতো মাঝ বুকে ক্ষতো, অবিরাম রক্ত ঝরে.......
এতোদিন পর তুমি কেনো এসেছো ফিরে,বলো কেনো এসেছো ফিরে....?
ফাগুনের আগুনে কি আমাকে চাও আরো পোড়াতে....
না কি আরো ঝরাতে চাও রক্ত সেই পুরানো ক্ষতো থেকে............?



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অধঁরা এবং এই বসন্ত

অধঁরা এবং এই বসন্ত

কেমন আছো অধঁরা.....
এই বসন্তের বাসন্তী স্বন্ধ্যায়.......?
মেঘ হীন নীল আকাশটায় হয়তো
এখন শুরু হয়ে গেছে রক্ত ক্ষরন...
ক্লান্ত শ্রান্ত বালি হাঁস গুলো হয়তো বা
ফিরে যাচ্ছে আপন নীড়ে ,প্রিয় সঙ্গিনীর কাছে....
হয়তো এখন তুমি
দিনের শেষে ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে আছো
আঙ্গিনায় ঝরে পরা শুক্ন পাতার পানে......
আর ভাবছো তুমি এইতো কয়েকদিন পরেই
সবুজের আদরে ভরে উঠবে পাতা হীন নগ্ন বৃক্ষ গুলো
প্রানের উচ্ছাসে মেতে উঠবে প্রকৃতি.....
যেমনটি তুমি মেতেছিলে মেহেদীর রঙে
ফেলে আসা ৮ টি বছর আগে......
আর ঝরে গেছে এই অরণ্য শুক্ন পাতার মতো....
যে ফাগুনী বাতাসে তুমি ভরে নাও প্রান
সে বাতাসে আমি আজও ভেসে যাই ঝরা পাতার মতো..
যে অধঁরা নামের নদী একদিন ভেঙ্গেছিলো আরণ্য কূল
সে নদী তো ভেবে দেখেনি কখনো ভুল ছিলো কতোটুকু কার
এতোদিন পরে কি আর মনে পরে ঝরে যাওয়া অরণ্যের কথা
ভেবেছ কি অধঁরা কখনো প্রাপ্তি পেয়েছিলে কতোটুকো আর....
এখনও আমি এক বুক শূন্যতায় রাত করি ভোর
এখন আমার ক্লান্তি নেই ঘরে ফেরার.....
কেউ থাকেনা বসে এখন আর আমার অপেক্ষায়...
ফাগুনের রঙে রাঙেনা এ মন আগের মতো আর...
শান্ত নিথর হয়ে পরে থাকে প্রান হীন নদীর মতো
বহু দিনের অবহেলায় অযতনে জীবনের পরিচিত পথ
আজ হাড়িয়ে গেছে স্মৃতির গভিরে....
এ বসন্ত তোমার অধঁরা , এ ফাগুন তোমার...
বাসন্তী শাড়িতে তুমি সাঁজো কাঁচা ফুলের অলংঙ্কারে
আর আমি না হয় পুড়েই গেলাম ফাগুনের আগুনে......!

নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

শুরু থেকে শুরু


শুরু থেকে শুরু



নির্জন এ রাতে আমার একা একা জেগে থাকা
ঘুম ঘুম দু চোখে তন্দ্রার লুকোচুরি খেলা,
ঝিম ঝিম এই ক্ষনে,রিম ঝিম বরিষনে
তোমাকেই শুধূ অনুভবে কাছে চাওয়া.....।

কতো কথা কতো ব্যথা,হৃদয়ে লেখা অ-লেখা
কতো স্মৃতি কতো প্রীতি,দেখা অ-দেখা,
কিছু ভুল কিছু পাওয়া,হৃদয়ের গভিরে অনন্ত চাওয়া
আবেগের অনুরাগে সিমানা পেরিয়ে যাওয়া.......।

চুপি চুপি এই রাতে অনুভবে কাছে এসে
পাশে বসে আরো কাছে হাত রেখে এই হাতে,
চেয়ে দেখো এই চোখে কতো প্রীতি কতো প্রেম
তোমারি জন্যে স্বজতনে আজও আছে রাখা....।

ফুল গুলো ঝরে গেছে ভুল গুলো আছে পরে
সব ভুল ভুলে গিয়ে আবার শুরু থেকে শুরু করে
চলোনা আবার সাঁজাই জীবনটাকে নতুন করে
মিলেমিশে দুজন দুজনায় ভালোবেসে.....।






নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমার নয়


একটা মানুষ আমায় ভালোবাসে 
আবার কাছেও টানে অদৃশ্য সুতোর টানে
আরেকটা মানুষ আমায় ঘৃনা করে
দুরে ঠেলে দেয় অনেক দুরে.......

ভালোবাসার পূর্ন চন্দ্র গিলে খেয়ে
আমি যার তরে শুভ্রতা খুজি,
যার পবিত্রতায় নিজেকে শুদ্ধ করি
সে তো আমার নয়
সে অন্য রঙে নিজেকে সাজায়
ভিন্ন জোয়ারে নিজেকে ভাসায়
সে থাকে আমার কল্পনায়.............

আবার যে মানুষটা পৃথিবীর সব মোহ ভুলে
এক রত্তি ভালোবাসা পাবার আসায়
আমার দুয়ারে দুমরে পরে আকুল হয়ে
আমার ভালোবাসায় শুদ্ধ হবে বলে,
আমার হৃদয় আমাকে বলে গোপনে
সেও আমার নয়.................

একটু জলের খোজে বহু কাল
ঘুরেছি এ পথ সে পথ
কোন পথে আমার মধু রথ
কোথায় জুড়াবে আমার তৃষিত হৃদয়............?




নির্জন আহমেদ অরণ্য