আয় ফিরে আয়


আয় ফিরে আয়




আষাঢ়ও শ্রাবনও ঘন বর্ষায়
তব চরনের মলে এখনও কি
বিজলি এসে চমকায়...?
মোর কি পরে মনে এই তমসায়..?
মনে কি পরে তব সেই দিন গুলি হায়
মোরে তো ডাকিয়া কহে শুধু ,
ওরে আয় ফিরে আয়.........!
মাঠ,ঘাট ধান ক্ষেত মারি
সর্বাঙ্গে কাদা মাটি মাখি
ছুটিয়া আসিতাম তব বাড়ি
মাথায় লইয়া এক রাশ বারি....
মনে কি পরনো তব হায়..?
এমনও শ্রাবনও দিনে দুজনায়
কতনা ভিজেছি শ্রাবন ধারায়......
মোরে তো ডাকিয়া কহে আজও
ওরে আয় তোরা ফিরে আয়.....!
এখনও শ্রাবন করিবে আপন
কদমের সুভাস এখনও আগেরি মতন
শুধু অভিমান ভুলে তুই
আরেকটি বার এই বুকে ফিরে আয়
ওরে আয় ফিরে আয়.......!

নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমার ঈস্বর জানে

আমার ঈস্বর জানে.

আমি চেয়েছিলাম একটা জনারণ্য হিন নির্জন পৃথিবী
আমি চেয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে সাজাতে একটি সুখের সংসার
সে কথা আমার আত্মা জানে.........
তুমি ব্যাবধানের একটা সিড়ি জুড়ে দিয়েছিলে আমাদের ভালোবাসায়
তুমি চেয়েছিলে লোকালয়ে হোক আমাদের আবাস
তুমি চেয়েছিলে ইট পাথড়ে গড়া একটি সংসার......

আমি চেয়েছিলাম সমুদ্র তীরে কোন এক অরণ্যে ঘর বাধতে
আমি চেয়েছিলাম তোমার পাশে শুয়ে
সমুদ্রের ভেসে আসা আর্তনাদ শুনতে....
আমি চেয়েছিলাম আমাদের ঘর চাদের আলোতে আলোকিত করতে
সে কথা আমার আত্মা জানে...............

তুমি বরাবরই একটা ব্যাবধানের দেয়াল গড়েছিলে
আমাদের দুই হৃদয়ের মাঝে,
তুমি চেয়েছিলে আমাদের ঘর হোক কোন এক ব্যাস্ত শহড়ে
তুমি চেয়েছিলে আমাদের ঘর আলোকিত হোক
ফিলামিনের ঝলমলে আলোতে.......

তাই আমাদের দুরত্ব শুধু দিন দিন বেড়েই চলেছে
অবশেষে আমি জানতে পারলুম ,আসলে আমি তোমার জন্য নই
হয়তো আমি এই পৃথিবীর জন্যও নই
তাইতো নিরবে দুরে চলে গেছি ,অনেক দুরে.........
কিন্তু তোমার জন্যে আমার এই হৃদয়ের পরতে
যতটুকু ভালোবাসা রাখা আছে তাতে এতটুকু প্রতারনা নেই
সে কথা আমার ঈস্বর জানে.......!



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অধরা এবং বৃষ্টি

অধরা এবং বৃষ্টি


আজ সারাটা দিন অবিরাম ঝরছে শ্রাবন ধারা
সবুজ ধান গাছ গুলো যেন মনের আনন্দে
নৃত্যের তালে ছন্দে ছন্দে হেলে দুলে
বৃষ্টি স্নানে মেতেছে.........
সজনের ডালে  ভিজিতেছে  শালিক জোড়া 
এমনও দিনে কি করছ তুমি অধরা....... ?
বৃষ্টি তোমার ও ছিল প্রিয় ,আমিও হতাম দিশেহাড়া
কতবার ভিজেছি পাশা পাশি মোরা........
আজ সে দিন গুলি শুধু স্বপ্ন আর সুখের কল্পনা...
আজও বৃষ্টির জল আমাকে টানে
টেনে টেনে নিয়ে যায় তোমার পানে......
কিন্তু কোথায়...? সেই সুখতো আমি আর পাইনা ,
বৃষ্টির  শিতল জল আমায় ভিজিয়ে দেয় কিন্তু.....
কিন্তু আমার আমিকে শিতল করেনা
আমার এ তৃষিত হৃদয়টাকে একটু শান্তি দিতে পারেনা.....
তবুও আমি এখনও তোমারই অনুভুতি খুজি বৃষ্টির জলে.....
দু হাত মেলে তোমাকেই কাছে ডাকি মনের ভুলে....
অধরা ..তুমিকি অনুভব করতে পারছ  আমায় ?
তুমি কি অনুভব করতে পারছ ঐ বৃষ্টির জলে আমার পরষ ? 
তুমি ছারা কে আছে বলো আর ?আমার এ ব্যাকুলতা জানবার........
কতটা দহনে আমি জ্বলি বিহনে তোমার.....
কষ্টের বালুচরে এ কেমন বিষাদ ?
আমার বলতে শূন্যতা ছারা কিছু নেই আজ  আর.........
কখনও কি কোনও পরিসরে ভেবেছ  আমায় ?
এই অরণ্যের দিবা রাত্রি কি করে কেটে যায় ?
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের  পাশা পাশি
এখনতো আমাকে শ্রাবনের জল ও পোড়ায়...........!


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

ক্ষমা করো আমায় অধরা


কেমন আছ অধরা...........?
নির্জন এই মধ্যরাতে যখন
পৃথিবী ঘুমিয়ে পরেছে ক্লান্তির ভারে
ঠিক তখনি আমি হেটে চলেছি
তোমার ভালোবাসার দুরন্ত মেঠো পথে....
চাদের নীল জোছনা যেন সে পথ
ঢেকে দিয়েছে নরম নীল গালীচার আবরনে ।
কি চিনতে পেরছ আমায় তুমি অধরা......
আমি ....আমি অরণ্য...........
যে অরণ্য হাড়িয়ে গিয়েছিলো নিরবে
হৃদয়ের অদৃশ্য বন্ধন একদিন
স্বার্থপরের মতো ছিন্ন করে
এক বুক অভিমান নিয়ে,
ভুলে গিয়েছিলো যে অরণ্য ,চাইলেই যে,
সব কিছু ভুলে যাওয়া যায়না..........
ফিরে আসতে হয় এক অদৃশ্য সুতোর টানে.........
আমি এসেছি ...আমি এসেছি ফিরে অধরা...
বিশ্বাস করো অধরা...প্রাচ্যের ঝলমলে আলো
আমাকে এতটুকু মোহিত করতে পারেনি
যতোটানা তুমি পেরেছিলে সামান্য দ্বীপ জ্বেলে
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আমায় এতটুকু
মাতাল করতে পারেনি অধরা
যতটানা মাতাল করেছিলে আমায় তুমি
তোমার ভালোবাসার মাদকতায়...........
চোখের সামনেই পরেছিলো এক অশান্ত সমুদ্র
অথচ.....অথচ এই আমি তোমাকে ফেলে
কল্পনার জোয়ারে ভেসে চলে গিয়েছিলাম
ভালোবাসার দেবীর খোজে.........
বুঝতেই পারিনি তখন আমিই ছিলাম
অধরা নামের এক দেবীর আরধ্য পুরুষ.......
ক্ষমা করো আমায় ...অধরা নামের বৃত্তের
বাহিরে যাওয়ার সাধ্য যে আমার নেই.......
কি ক্ষমা করবেতো আমায়............
আজন্ম দন্ডপ্রাপ্ত ভালোবাসা হিনতার দায়ে
এই শূন্য মানুষটিকে কি তুমি
ক্ষমা করতে পারবেনা শেষ বারের মত.......
সব ভুল শুধরে নিয়ে ,নষ্ট কষ্ট নামের
ঝরাপাতা গুলো সমুদ্রের জলে বিসর্জন দিয়ে ,
তুমিকি পারবেনা অধরা.... এই অরণ্যকে
আজীবনের মতো আপন করে নিতে...?

নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

ভালোবাসার অপেক্ষা

ভালোবাসার অপেক্ষা

কেউ আমাকে একমুঠু সুখ দিলোনা
ভালোবাসার পূর্ন চন্দ্র গিলে
কেউ আমার হাত ধরে কখনও 
ভালোবাসি বললনা.....
অখচ এই একটি চাওয়া নিয়েই আমি
অপেক্ষার পর অপেক্ষা করে গেছি
কতো কাল ,তা ঠিক এখন আর মনে পরেনা
তবুও আমার এতটুকু ক্লান্তি নেই অপেক্ষার..
এই অপেক্ষাই আমাকে বাচতে শেখায়
এই অপেক্ষাই আমাকে স্বপ্ন দেখায়....
আমাকে প্রচন্ড ক্ষর তাপে পোড়ায়
আবার শ্রাবনের শিতল জলেও ভেজায়.....
ভালোবাসা আহা: ভলোবাসা.......
এই ভালোবাসা বীনা জীবন চলেনা
 আবার কারো জীবন থেমেও থাকেনা,
ভালোবাসা আর আমি দু জনেই
চলেছি খুব পাশা পাশি সমান্তরাল দুরত্বে,
ঠিক যেন রেল এর দুটি সরু পাটি
চলে গেছে বহুদুর.... পাশ পাশি...
চোখ মেলে দেখা হয়নি  কখনও ।


নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমার বিদ্রহি মন


আমার বিদ্রহি মন



আমার বিদ্রহি মন আমায় ভাবায়
আমাকে গোপনে গোপনে কাদায়...
আমাকে ঘৃনা করতেও শেখায়
আবার ভালোবাসতেও শেখায়....।

আমার বিদ্রহি মন কখনও কখনও
আমার স্বত্বার সাথে তুমুল বিদ্রহে জড়ায়
আবার কখনও কখনও অতি গোপনে
নিরবে সন্ধি করে যায়........।

জীবনের এতো গুলো বসন্ত পেরিয়ে
দ্বিধা,দন্দ,বিদ্রহ,অথবা বিগ্রহ এড়িয়ে
নিজের মনের কাছেই রয়ে গেলাম অচেনা
রয়ে গেলাম বড় বেশি অজানা....।

এ আমার অপারগতা না কি ব্যার্থতা ?
না কি আমার অসাধ্য সাধনার ফসিল ?
হয়তো এক জীবন অথবা তারও বেশি কাল
হবেনা জানা,যতোই থাকিনা কেন নিজেতে বিলিন..।

চার দেয়লের ঘর,ছয় জানালার ভিতর
আপন ঘরেই আমি আজও রইলাম পর ,
সাঙ্গ হবে যেদিন খেলা,ছারতে হবে রঙের মেলা
শূন্য হাতে যাবো চলে,শূন্য-ই রযে যাবে মোর ঝোলা..।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

 

মুক্তি যুদ্ধ এবং দুটি কবিতা


             (১)

ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই



ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই
শত্রুর ভয়ে মা-গো আমরা ভিতু নই
হাল চাষা হাতে আমরা যেমন ,
ফলাতে পারি সোনা...
তেমনি শত্রুর তরে অশ্র হাতে
রুখে দাড়াতে জানি মা....
ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই
শত্রুর ভয়ে মা-গো আমরা ভিতু নই......।
স্বাদ্ধ্য আছে কার ?তোকে ছিনিয়ে নেবার ?
আমরা তোর সন্তান ,অসীম পাহাড়
পোয়োজনে মা-গো তোর কোলে
ঘুমিয়ে যাবো চীরতরে ........
তবু শত্রুর কাছে মানবোনা হার....।
ভয় নেই মা-গো তোর ভয় নেই
মৃত্যুর ভয়ে মা-গো আমরা ভিতু নই...........

_____________________________________
_____________________________________

            (২)
        
 বীজয়ের গান

যাদের নিবেদিতো প্রানের বিনিময়ে
আমরা ভেসেছি স্বাধীনতার জোয়াড়ে
যারা শক্ত হাতে অশ্র ধরে দিয়ে ছিলো রক্ত
মোরা যুগে যুগে রইবো তাদের স্মরনে রিক্ত,
যাদের কারনে আজ আমি গাই বাংলার গান
যাদের জন্যে আজ আমার স্বাধীন প্রান
তাদের স্মরনে গেয়ে যাবো আজীবন
মোরা শ্রদ্ধা ভরে বীজয়ের গান...........
হৃদয়ের গভিরে যে,তোমাদেরই অবস্থান ।



(মহান মুক্তি যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে এবং যে সব মুক্তি যোদ্ধা জীবিত
তাদের প্রতি আমার হৃদয়ের গভির থেকে রইলো প্রান ঢালা শ্রদ্ধা)
নির্জন আহমেদ অরণ্য.................

 
অধরা আমার অমৃত সুখ


অধরা ...কেউ জানুক আর নাইবা জানুক

তুমিতো জানো ,তুমি আমার অমৃত সুখ...

আমার রোদ্দুর নীল আকাশে উরে যাওয়া

সাদা তুলোর মেঘ....আমার উঠুনে ঝরা

শ্রাবনের শান্ত শিতল জল.........অথচ...

অথচ অধরা আজ আমি তোমার

ভালোবাসার প্রবল ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে

হৃদয়টাকে যে কতোবার জোড়া লাগিয়েছি

পেরেকের পর পেরেক ঠুকে ঠুকে তা আমিই জানি ....

অনেকে আমাকে বলে আমি নাকি কষ্টবিলাসী...

মিছে মিছি তোমার স্মৃতি বুকে ধরে রাখি....

কিন্তু আমি তো জানি .... যে অধরা আমার -

হৃদয়ের দেয়ালে লেপ্টে আছে সাদা রঙের মতো

যে অধরা আমার চোখের কোনে জমে আছে জলের মতো

তাকে তো আর চাইলেই আমি সরাতে পারিনা.....

তাই সাধের জীবন তোমার কাছে বন্ধক রেখে

আজও তোমাকেই ভালোবাসি অধরা..........

অধরা আমি পারিনি আজও তোমার মতো

জীবনটা সাজাতে , এখনো সেই আগের মতোই

অগোছালো ছন্ন ছারা আমার জীবন.....

অধরা... তোমার অরণ্য এখনো জীবনের অংকের

সুখকর মিলন ঘটাতে পারেনি.......যোগ বিয়োগের খেলায়

আজও বিয়োগের দাড় বেয়ে যাচ্ছে ক্লন্ত মাঝির মতো...

আজ তুমি পূর্ন অধরা ...এক রত্তি সুখের সংসার তোমার

তোমার সংসারের আনাচে কানাচে শুধু সুখের ছরা ছরি....

আর.....আর আমার জীবনটা এখনো রয়ে গেলো শূন্য......

মিথ্যে বলবোনা অধরা.... মাঝে মাঝে মধ্যরাতে

একটু ঘূমের জন্য পাগল হয়ে ওঠে আমার ক্লান্ত দুটি চোখ

তনদ্রা কিছুতেই আসেনা,বিছানায় এপাশ ওপাশ করে

কেটে যায় রাত....তখন আমার ভিষন হিংসে হয় তোমার জন্য

মনের গভিরে কষ্ট গুলো ফুসে ওঠে কেউটের মতো.....

গর্জে ওঠে সমুদ্রের গর্জনের মতো...

.প্রচন্ড অভিমানে ঝড় তোলে মনের আকাশ জুরে.....

আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় পাহাড়ি ঝর্নার জলে........

আমার হৃদয়টা ক্ষত বিক্ষত হয়ে যায় আঘাতে আঘাতে

লাল রক্তের নদী বয়ে যায় একে বেকে নিরবে..........

আমি আবার প্রান শক্তি ফিরে পাই

ভোরের শিশির ভেজা তুলসী পাতার জলে.....

ভুলে যাই সব ,হাজাড়ও কষ্টের প্রহর.........

আবারো তোমাকেই ভালোবাসি অধরা ...........

আমার সমস্ত ভালোবাসা তোমার পায়ে -

ঢেলে ঢেলে দেই স্বার্থহিন ভাবে পূজোর ছলে.........

কেউ না জানুক অধরা ....তুমিতো জানো

তোমাকে ভালোবাসতে পারাতেই -

আমার জীবনের অমৃত সুখ...............।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

আমার স্বার্থপর রুপ


আমাকে তোমরা ভালোবাসতে না পারো


আমাকে ঘৃনা করো,আমি তাতেই তৃপ্ত...


আমাকে সুখ দিতে হবেনা .কষ্ট দিও


তোমাদের কষ্ট গুলো আমি যত্ন করে তুলে রাখবো ।


আমাকে ফুল না দিলেও এতোটুকু আপত্তি নেই


আমি ভুলে ভুলে জীবনটা নিরলস সাজাতে পারি....


আমি তোমাদের সুন্দর স্বপ্ন গুলোতে ভাগ চাইনা


শুধু স্বপ্ন ভাঙ্গার দিন গুলো আমাকে দিও ।


এখন আমার হৃদয়টা পাথরের মতো


বোধশক্তি হিন একটা জড়ো পদার্থ,


কষ্টেরা মাথা ঠুকে ক্লান্ত হয়ে যায় , কিন্তু


তাদের আপন করে নিতে আমার এতোটুকু ক্লান্তি নেই


আবেগ-অনুভুতি অথবা অনুরাগ


এসব কিছু এখন আমার ফেলে আসা অতিত


আর অতিতও আজ-কাল আমাকে পিছু ডাকেনা


স্বার্থপরের মতো শুধু নিজেকে পূজো দিই


দিবা-নিশি সারাবেলা , তাই বলে তোমরা


আমাকে করুনা করোনা ,শুধু ঘৃনা করো ।














নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমি এবং আমার কিছু কথা





নিশাচর বলে  আমি ভেবনা তোমরা
আমি জীবনের কাছে হেরে গেছি
সিগারেটের পেকেট শূন্য আর
ঠান্ডা কফীর পেয়ালা দেখে ভেবনা
আমি প্রান হিন হয়ে বেচে আছি..
আমি বার বার ভাগ্যের দুয়ারে কড়া নেরে
ব্যার্থ হয়ে আবারো নতুন করে
সব কিছু ভুলে সময়ের স্রোতে ভেসেছি ...
আমি হারতে শিখিনি,আমি নষ্ট হয়ে যাইনি
আমি বিকিয়ে দেইনি আমার মনুষ্যত্ব
সস্তা দামের সুখ কেনার জন্য
নষ্ট পল্লির কোন প্রমদ বালার হাতে
কিছু অর্থ গুজে দিয়ে ভালোবাসার
সওদা করতে পারিনি আজও...
আমিতো শুধু রাতের আধারকে আপন করেছি...
আর আধারের মাঝে আলো খুজেছি.............


নির্জন আহমেদ অরণ্য