ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে

ভালোবাসা মানে
চোখে চোখ রেখে হাজারও
না বলা কখা বলা....
বহমান নদীর মতো
একে অন্যের টানে ছুটে চলা......

ভালোবাসা মানে
মনের সমুদ্রে অজশ্র
নাম না জানা ঢেউ তোলা...
পূর্ণিমা রাতে জোছনার আলোতে
হাতে হাত রেখে অবিরল গল্প করা...
ভালোবাসা মানে
শেষ হয়ে যাওয়া
কখার পরেও দুজনার কখা বলা...
শ্রাবনের স্বন্ধ্যায়
দুজনে ভিজে বৃষ্টির সুধা পান করা.....


ভালোবাসা মানে
ভাবনার অতল গভিরে
দুজনার ডুবে থাকা
অপার বিশ্বাসে
রঙিন সুতোয় স্বপ্ন বোনা.....

ভালোবাসা মানে
শত পাওয়ার পরেও
অ-তৃপ্ত চাওয়া
পৃথিবীর বুকে
এক সুখের ঠিকানা
             ভালোবাসা মানে
               এক অ-জানা মোহে
                   রাতের পর রাত জাগা....
                বিষন্ন প্রহরে মনে মনে 
               বিরহের নামতা গুনা





ভালোবাসা মানে
মনের গভিরে এক অজানা
ভয়ের আনাগোনা...
দু চোখের কোনে
পাহাড়ি ঝর্না ধারা...                   



নির্জন আহমেদ অরণ্য





                          



 

এখনো কি তুমি


তোমার চোখে কি এখনো তন্দ্রা আসে
গভির রাতে যখন আধ ভাঙ্গা চাদ
লাজুক ভাবে ঐ আকাশে ভাসে ?
নাকি এখনো তুমি ডুবে থাকো
ঘোর লাগা সেই নাম না জানা
হাজাড়ো অপরিচিত ভাবনার মাঝে ?

সাদা মেঘের মতো এখনো কিতুমি
শরৎ এর আকাশে ভেসে যাও
ধবল বলাকার বেশে ............?
এখনো কি তুমি তিমীর রাতে
হাড়ানো সুখ গুলো খুজো
লক্ষি পেচার ডাকে ...........?

এখনো কি তোমার ভিষন্ন সময় গুলো কাটে
সাদা রুমালে রঙিন সুতায় স্বপ্ন বুনে বুনে,
নাকি এখনো আমার অপেক্ষায় সময় গুলো যাও তুমি গুনে ?
নির্জন স্বন্ধ্যার আধারে এখনোকি তোমার চোখের কোনে
নোনা জলের জোয়ার আসে
আমার ভালোবাসার দামে.........?



নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আমায় একটু ভালোবাসা দেবে





আমায় একটু ভালোবাসা দেবে ?
তোমার হৃদয়ের গহিনে পরে থাকা
অপার ভালোবাসা থেকে একটু খানি.....
আমি আর পারছিনা বিশ্বাস করো ,
একা একা এই নি:স্বঙ্গ জীবনে 
নিজেকে এখন মেহেদী পাতার মতো মনে হয়
যার বাহিরটা ঘন সবুজ বরন......
আর ভেতরটায় কষ্টের রক্ত ক্ষরন ! 


আমায় একটু ভালোবাসা দেবে ?
তোমার একটু খানি ভালোবাসা পেলে
আমি আবার সুখের জোয়ারে ভাসতুম
মেঘের ভেলার মতো ঐ দুর আকাশে
উড়তে উড়তে হাড়াতে পারতুম ,
তার পর একদিন ভোরের স্নান সেরে
ভালোবাসার দেবতাকে পূঁজো দিয়ে বলতুম
হে প্রেম দেবতা আমিও ভালোবাসা পেয়েছি...
আমার প্রিয়ার দেয়া ভালোবাসা টুকু বুঁকে ধরে
আমিও তোমার মতো স্বর্গ সুখে ভেসেছি !


কোন একদিন তোমার উপহাড় টুকু সাথে নিয়ে
এই পৃথিবীর সব ঋন শোধ করে 
হড়িয়ে যেতুম অনেক দুরে...যেখানে
আমি আর আমার ভালোবাসা ছারা কেউ থাকবেনা ।






নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

ভালোবেসে সারা বেলা


আমি আছি সারা বেলা
সুখে দু:খে বেলা-অবেলা

পাখি ডাকা ভোরে
ঘুমে জড়ানো দুটি চোখে
যদি মনে পরে যায় কখনো আমায় ...
স্নিগ্ধ নয়ন যুগল খুলে দেখো তায়
শিওরে তোমার দারিয়ে আছি ফুল হাতে ঠাঁয় !!

একাঁকি অলস দুপুঁরে
প্রজাঁপতির ডানায় যখন বিষাদ ভর করে
মন বসেনা যখন কোন কিছুতে,
খুঁজে দেখ তখনো আছি আমি তোমার মন রাঙাতে
তোমার পায়ে জড়ানো রুম ঝুম দুটি নুপূরে ।।

নির্জন স্বন্ধ্যার আড়ালে
দিনের শেষ আলো টুকু হাড়ালে
যখন নিজেকে বড় বেশি এঁকা এঁকা লাগে...
তখনো রবো আমি পাশে তোমার স্বন্ধ্যা সাঁজাতে
জোনাকির মিটিমিটি আলোতে ।।

ঘুম-হীন মাঝ রাতে
তন্দ্রা রা হাড়ালে অজানাতে
যদি আমায় কাছে পেতে খুব ইচ্ছে জাগে মনে...
দক্ষিনা জানালা খুলে চেয়ে দেখো আকাশ পানে
আমি রবো কোনও এক দূর নক্ষত্রের মাঝে ।।

আমি আছি সারা বেলা
তোমার আকাশে হয়ে মেঘের ভেলা...
কখনো বা বাতাসের বেশে
তোমার খোলা চুলে দিয়ে যাবো দোলা
কখনো বা ঐ অঁধর ছুঁয়ে যাবো ভালোবেসে ।।




নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

যদি আবার ভালোবাসা পাই


যদি আবার ভালোবাসা পাই
আমি জীবনটাকে সাজিঁয়ে নেবো
গুছিয়ে নেবো সব বেদনা আর
হাড়ানোর স্মৃতি গুলো মুছে....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
আমি দিঘিতে ফোঁটাবো পদ্ম রাজি
পলাশ চাঁপার রঙে রাঙাবো
তোমার মনের সাঁজি .....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
চৈতালী দুপুরে হবো শীতল ছাঁয়া
তোমার ভিষন্ন প্রহর গুলো
ভরিয়ে দেবে আমার হীমেল মায়া...

যদি আবার ভালোবাসা পাই
নীল আকাশে উঁড়াবো প্রজাপতি,
ঘাস ফঁড়িং এর ডানায়
লিখে দেবো প্রেমের চিঠি....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
আমি শ্রাবনের ধারা হয়ে
ঝড়ে যাবো অবিরাম তোমার
ঐ মায়াবী অঁধর ছুঁয়ে...

যদি আবার ভালোবাসা পাই
শরতের মেঘ আকাশে ভাঁসিয়ে
হীমেল বাতাসে দোলে দোলে
হাড়াবো দুজনায় সাদা কাশ বনে...

যদি আবার ভালোবাসা পাই
শীতের রাতে দেবো কুশুম পরষ
ভোরের শিশির হয়ে ভিঁজিয়ে দেবো
তোমার শুষ্ক প্রহর....

যদি আবার ভালোবাসা পাই
শুকনো বৃক্ষে ছড়িয়ে দেবো
বসন্তের অপার সুখ
সবুজ রঙে এঁকে দেবো পৃথিবীর মুখ..

যদি আবার ভালোবাসা পাই
রাতের আঁধার ভেঙ্গে এনে দেব
এক মুঠো নীল জোছনার আলো
তার পর শুধু তোমাকেই বেসে যাবো ভালো....




নির্জন আহমেদ অরণ্য
 
 ঝড়া ফুল



যখন সময় থমকে যায়
অপেক্ষার আড়শী নগড়ে...
যখন কষ্টের নীল রং
ভর করে ঐ আকাশে...
তখনো আমার ভালোবাসা 
শঙ্খ চীল হয়ে উড়ে তোমার আকাশে...
আমি আবার ফিরে পাই প্রান 
দু চোখ বুজে নেই ঘাস ফুলেদের ঘ্রান...
নতুন উদ্দ্যমে আবারো
পুরোনো তোমাকেই ভাবি....
এক সময় আমি আবারো ক্লান্ত হয়ে যাই
ঝড়ে যাই শুকনো ফুলের মতো....




    অরণ্য

 

ভালোবাসা


যদি ভালোবেসে তোমাকে কাছে ডাকি
ভালোবাসার টানে তুমিও ছুটে আসবে কি ?
যদি সাগড় নীলে হাড়াতে চাই দুজনায়
হাত দুটি ধরে আমার ভাঙ্গা নায়ে তুমিও চড়বে কি ?
যদি পাখির মতো ডানা মেলে উঁড়ে যেতে চাই ঐ দুরে
বলো ভালোবেসে তুমিও হাড়াতে পারো কি ঐ সুদূরে ?
যদি বাসন্তি স্বন্ধ্যাটাকে সাঁজাতে চাই গোঁধলির আবিরে
বলো তুলি আর রং নিয়ে জীবনের ছবি তুমিও আঁকবে কি ?
যদি শরতের আকাশে ভেসে যাই মেঘ হয়ে
কাশ ফুল হয়ে তুমিও দোলা দিয়ে যাবে কি ?
যদি নদী হয়ে বয়ে যাই এঁকে বেঁকে
বলো সমুদ্র হয়ে বুকে টেনে নেবে কি ?
যদি শ্রাবনের জল হয়ে অবিরাম ঝড়ি
মাটি হয়ে সেই জল তুমি শুষে নেবে কি ?
ভোরের শিশিরে শিউলি ফুল হয়ে যদি ঝড়ে যাই কোনও দিন
আঁচল ভরে সেই ফুল তুমি কুঁড়াতে আসবে কি ?
যদি ভালোবেসে হাড়িয়ে যাই কোনও দিন
আমার বিহনে দু ফোঁটা জল ঝড়াবে কি ?



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

বাপ-ধন

বাপ-ধন


এই কাঁধে তোরে একদিন চড়াইয়া বাপ-ধন
আমোদে বেড়াইতাম ঘুড়িয়া ......
আজি পাষানে বাঁধিয়া হিয়া, অষাঁঢ় কাঁধে
শেষ বারের মতো উঠাইলাম বাপ-ধন
তোরে যতন ও করিয়া সাদা কাপড়ে জড়াইয়া.....!
এই দিন দেখিবার তরে, খোদা বুঝি হায়
রাখিয়া ছিলো প্রান পাখি মোর হৃদয়ে গাঁথিয়া ....
আঁখিজল আজি ভাঙ্গিয়াছে বাঁধ বুঝি,ঝড়িতেছে দু চক্ষু মজি,
বাপ-ধন তোরে রাখিয়া একা শূন্য হাতে কি করে ফিরি বাড়ি ?
হাড়াইয়া বুকের রতন , কান্দিতেছে পাগলের মতন
ক্ষনে ক্ষনে হইয়া বেহুঁশ ,মমতাময়ী তোর জন্মদাত্রী...!
আদরো করিয়া ,যতনও করিয়া যে রাখিতো তোরে
আঁচলে বান্ধিয়া ,সেই ধন আমি মাটির কবরে কি করিয়া রাখি?
কি জবাব দিবো তারে মনে মনে ভাবিয়া মরি.....
কাঁধে জোয়ান পুত্রের লাশ,ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস
পাহাড় সম ভার বহিতে নাহি পারি....
কলিজা যাইতাছে ফাটিয়া ,পারিনা ছিড়িয়া তাহারে
বাহিরে আনিয়া আপনও হস্তে বঁধি !
দেখিয়া গোর ভাঙ্গিলো ঘোড়,কাপিয়া উঠিলো সিনা ,
আদরের মানিক আমার , কলিজা ছেড়া ধন বুঝি
অনন্ত নিদ্রা যাইবে এই মাটির বিছানায় পরিয়া..?
একদিন মোর এই প্রসস্ত সিনায় ,শুইয়া ঘুমাইতো খোকা
কচি দুটি বাহুতে জড়াইয়া ধরিয়া রাখিতো মোর গলা ....!
সে কথা ভাবিতে ভাবিতে মোর নয়ন যুগল গেলো ভাসিয়া ....
পিতার হস্তে পুত্রের দাফন,আসমান পরে ভাঙ্গিয়া___
আদরের মানিক আমার, ক্ষমা করিস এই অভাগা পিতারে তোর
যে তোরে এই অন্ধকার ঘরে রাখিয়া যাইতেছে এঁকা ।।



নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

ঈদের খুশি

      ঈদের খুশি

বছর ঘুরে এলো আবার
অনেক খুশির ঈদ...!!!
পাড়ার যতো বুড়ো জোয়ান
ভাংলো সবার নিদ...!!!
ঈদের নমাজ পরবে বলে
সকাল সকাল গোসল সেরে
নতুন নতুন জামা পরে ,
ছুটেন সবাই ঈদগাহে......
নামাজ সেরে কোলাকুলি
সালামী নিয়ে ঝোলা ঝুলি ,
এদিক সেদিক ছুটা ছুটি..
ইচ্ছে মতো ঘুরা ঘুরি....!!!
ফিরনী,সেমাই ,পায়েস
খেতে ভিষন আয়েশ,
কোরমা,পোলাও কত্তো কি
খেতে সবাই ভালোবাসি..
মুখে মুখে সুখের হাসি
ঘরে ঘরে ঈদের খুশি ।।



(আসুন আমরা সবাই পশু জবাই এর সাথে সাথে মনের পশুটাকেও জবাই করি)

                     নির্জন আহমেদ অরণ্য
                 ঈদের শুভেচ্ছা রইলো সবাইকে


 

বৃষ্টি




   বৃষ্টি



টিপ টিপ বৃষ্টি
মেলে দেখ দৃষ্টি,
বিধাতার সেকি
অপরুপ সৃষ্টি....।
রিম ঝিম বর্ষা
মনে বড়ো হর্ষা,
ভিজি আজ চলনা
এ সময় চলে গেলে
ফিরে পাবি কি
আর তুই বলনা ?
কালো মেঘ ঝরে যায়
শীতল পরষ দিয়ে যায়,
একা ঘরে বসে থাকিসনা
এ মধুরেন যদি হয়
একবার সমাপয়েৎ
ফিরে আর পাবিনা ।



নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

স্বপ্ন

      স্বপ্ন


গায়ের কিশোরী কন্যা __
ছড়িয়ে হাসির বন্যা__
রঙিন সুতো আর সুই এ__
বুনে যায় তার স্বপ্ন __
সাদা রুমালে__
ও কন্যা তুমি জানোনা__
তোমার নিটল পায়ে__
স্বপ্ন জড়িয়ে নূপুড়ে__
খোলা চুলে স্বপ্ন গুলো__
দোলে যায় দুপুরে__
অধর জুড়ে সুখগো তোমার__
কর্ন ফুলে স্বপ্ন আছে লুকিয়ে__

ও কন্যা কাহার সনে__
স্বপ্ন বুনো আপন মনে__?




নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

এক গুচ্ছ শুকনো গোলাপ

একটা ভিষন ঝাপটা শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেলো,
রাত তখন দ্বি প্রহর হবে.............
ঘুট ঘুটে অন্ধকারে কিছুই দেখা যাচ্ছিলোনা
ঘড়িটা হাতিয়ে খোঁজার বৃথা চেষ্টা করলাম কিছুক্ষন-
না পেলামনা ঘড়িটা..একটু একটু ভয় ও হচ্ছিলো...
হৃদয়ের স্পন্দন ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তখন ।
তবুও শেষ শক্তি টুকু দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলাম-
ইলেকট্রিক লাইট টা জ্বালানোর উদ্দেশে 
এগুচ্ছিলাম খুব সাবধানে...কি যেনো একটা 
পায়ের সাথে লেগে পরে গেল..বুঝতে পারলাম
কি ছিলো সেটা,আমার স্বাধের ফুলদানি ছিলো,
ভেঙ্গে গেছে বেশ বুঝতে পারলাম ।
আমি ধিরে ধিরে এগিয়ে এসে দড়জার পাশে দারালাম,
হাত বাড়ালাম অনুমান করে লাইট এর সুইস এর উদ্দেশে..
শূণ্য দেয়ালে হাত পরেছে,একটু এদিক সেদিক হাত বুলাতেই
পেয়ে গেলাম সুইস বোর্ড,সুইস চেপে লাইট জ্বেলে দেখি..
আমার ফুলদানি টি ভেঙ্গে ছড়িয়ে পরে আছে...
বুকের মধ্যে একটা অজানা যাতনা শুরু হলো,
এই ফুলদানিতে যে, কতোবার মানষীর দেয়া ফুল-
শোভা পেয়েছে তার কোনও ইয়াত্তা নেই ।
তোমাকে হাড়িয়ে যে ফুলদানিকে দির্ঘ 
১৩ টা বছর আগলে রাখলাম তা এক নিমিষেই
আমার স্বপ্ন ভাঙ্গার মতো খান খান হয়ে গেলো ।
নিজেকে সামলে নিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলাম
সেই ঝাপঁটা শব্দটার কেন্দ্রস্থল.......
না, কিছুইতো নেই...জানালাটা খোলা...
হালকা ফুরফুরে বাতাস আসছিলো তখনো...
বুঝতে অসুবিধে হলোনা শব্দটা প্রচন্ড বাতাসের সাথে
জানালার খোলা পাল্লার পরাজয় ছিলো ।
আমি ধিরে ধিরে এসে দড়ালাম জানালার গ্রিল ধরে,
আকাশের পানে চেয়ে দেখলাম কি সুন্দর পূর্ণিমা চাঁদ উঠেছে..
অকৃপন ভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে নীল জোছনা......
অবাক চোখে দেখছিলাম প্রকৃতির এই অপরুপ খেলা ,
এক সময় চোখ গিয়ে আটঁকে গেলো বাগানের শেষ-
সিমানার কৃষ্ণচূরা গাছের ছাঁয়া তলে বেড়ে উঠা 
হাসনাহেনা গাছটির দিকে....অবাক হলাম....!
কে ওখানে...দাড়িয়ে আছে ? সাদা শাড়ি পরে..
পরম আদরে বুলিয়ে দিচ্ছে হাত সদ্য ফোঁটা ফুলে ?
যে ভাবে হাত বুলাতো মানষী ঠিক সেভাবে...
বুকের গভিরে যখন না না প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিলো তখন
ঘুরে দাড়ালো সেই সাদা কাপড় পরা মানুষটি.....
আমি কিছুক্ষনের জন্য অষাঢ় হয়ে গেলাম...
সেকি এযে দেখি আমার মানষী দাড়িয়ে আছে-
তবেকি এতোগুলো বছর পরে মানষী ফিরে এলো ?
যে মানষী পিতা মাতার কথা রাখতে গিয়ে-
আমার ভালোবাসা উপেক্ষা করে আপন করে নিয়েছিলো
অজানা-অচেনা একজন মানুষের সংসার ...!
সে মানষী কি তবে ফিরে এলো সত্যিই এই অরণ্যের কাছে ?


আমি তখন অনুভব করলাম কে যেন আমাকে 
পেছন থেকে হাত ধরে টানছে,চোখ ফেরাতেই দেখলাম মা ,
মা দাড়িয়ে আছেন আমার শিয়রে,আমাকে জাগাতে এসেছেন..
আর আমি শুয়ে আছি বিছানায়,প্রথমে মেলাতে পারছিলামনা 
আসলে কোনটা স্বপ্ন আর কোনটা বাস্তব ।
মা চলে গেছেন ততক্ষনে ,আর আমি জানালা দিয়ে 
বাহিরের দিকে তাকালাম বিছানায় শুয়ে ই-
সকালের সোনা রোঁদ ঝিলিক দিচ্ছে কাঁঠাল চাঁপার কঁচি পাতায় 
আমার এতোক্ষনে মনে পরলো ফুলদানি টির কথা...
চোখ ফিরিয়ে দেখলাম - না অক্ষত ই আছে সেটা...
এক গুচ্ছ শুক্ন গোলাপ তার বক্ষে শোভা পাচ্ছিলো তখনো ।








নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

অধঁরা এবং নীল আকাশ

অধঁরা... আকাশ দেখেছ ? নীল আকাশ...
নির্জন শূন্যতা বুকে ধরে অপেক্ষার 
অনন্ত সময় একা......একা.....
কষ্টের প্রহর কি করে গুনে যায়....?
তোমার অরণ্য ও এখন তেমনি
তোমার দেয়া এক বুক শূন্যতা নিয়ে
অপেক্ষার দায় ভার কাঁধে ....
একা...একা...দিন কাটায়...।
ঐ আকাশের মতোই এখন ..
এই অরণ্যের পৃথিবী ছেয়ে আছে
কষ্টের নীল চাঁদরে.......
আকাশের মতোই নির্জন সন্ধায়
হৃদয় ক্ষত থেকে শুরু হয়..
প্রতিদিন রক্ত ক্ষরন...
রাতের অন্ধকারে সুখ গুলো
যেন ঘোর অমাবশ্যা ,
নিজের ছাঁয়াকে মনে হয় আলেয়া ....
ঐ আকাশ কষ্টের ভার সইতে না পেরে 
মাঝে মাঝে অশ্রু ঝড়ায় বৃষ্টির ছলে...
শুধু আমি পারিনা দু চোখের কোন হতে
আকাশের মতো বৃষ্টি ঝড়াতে...
আমার কষ্ট গুলো দিন দিন শুধু
বুকের পাঁজড়ে বাসা বাঁধে....
তবুও অঁধরা.... আমার এতোটুকু ক্লান্তি নেই
তোমার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে...।






নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

চলোনা আজ ভালোবাসি

চলোনা আজ ভালোবাসি


চলোনা দুজন আজ ভালোবেসে
হাড়িয়ে যাই ওই সুদুরে ,
যেখানে দিগন্ত মিশে আছে
শেষ সিমানা জুড়ে....।

এসোনা দেখো কি অপরুপ সেঁজেছে
গোধূঁলি আজ আবিরে ,
চলোনা ভালোবেসে সন্ধা নামাই
আজ এই ধরনি তলে....।

নামুকনা আধাঁর যতোটা খুশি
তোমারই চোখের কাজঁল ছুয়ে ,
চাঁদেরই জোছনা ঝড়ুঁকনা আজ
তোমারই অধঁরে....।

সুখেরই অনুভুতি হৃদয়ে নিয়ে
এই সন্ধার আবেগে ....
স্বপ্ন গুলো উঁড়াই আজ
জোনাকির ডানায় ভর করে...।


নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অধঁরা

অধঁরা


তখন আমি ছিলাম একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর
যখন তুমি আমার হৃদয়ের নরম পলিতে ,
ভালোবাসার প্রথম বীজ রোপন করেছিলে অধঁরা___
তুমি আমায় প্রথম হাত ধরে ভালোবাসার পথ চলতে শিখিয়েছিলে
যেভাবে প্রথম বরষের শিশুকে চলতে শিখানো হয়
অধঁরা.. তুমিই প্রথম আমায় স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলে____

আজ তুমি নেই অধঁরা আমার পাশে,তবুও
তোমার স্মৃতি আমার মনো মন্দিরে সজতনে রাখা আছে ।
আমার ভাবনায়,আমার কল্পনায় তুমি আছো ও থাকবে
অধঁরা তুমি শেষ চিঠিতে লিখেছিলে___
‍‌‌‌‌‍‍‍"কখনো যেন ভুলোনা আমায়"
ভুলিনি তোমায় আমি অধঁরা আজও,অথচ__
অথচ অধঁরা তুমি ভুলেছ সবই,রাখনি কথা
বেধেঁছ সুখেরই সংসার,খুঁজে নিয়েছ আপন ঠিকানা ।

অপেক্ষায় আছি অধঁরা,তেরটা বসন্ত কেটে গেছে তুমি হীনা
তোমার রোপন করা সে ভালোবাসার বীজ অংঙ্কুরিত হয়েছিলো-
সেই অনেক আগেই,সেই চারা গাছটি আজ একটি বৃক্ষ রুপে_
অজতনে বেড়ে ওঠেছে,অনেক শাঁখা প্রশাঁখায় বিসৃত ।
আমি সেই বৃক্ষটিরে হৃদয় থেকে আজও উঁপড়ে ফেলতে পারিনি
ভূগর্ভের মতো আমার হৃদয়ের গহিনে বৃক্ষটির শিকড় আজও
অনেক শক্ত ভাবে আঁকড়ে ধরে আেছ______

অধঁরা... তোমার সেই অরন্য আগের মতো নেই আর
বদলে গেছে অনেক,অপেক্ষার ভারে বড় বেশি ক্লান্ত এখন ।
সময়ের পরিহাঁসে সেই কুঁচ কুঁচে কালো চুল বদলেছে আপন রং
শুধু যায়নি মুছে হৃদয়ের ক্ষত,চলছে অবিরত রক্ত ক্ষরন ।
অধঁরা.. এখনো তোমার অরণ্য সড়ল ধাঁধার উত্তর মেলাতে পারেনা ,
এখনো জীবনের যোগ বিয়োগের অংক মেলাতে পারেনা ,
এখন তোমার অরণ্য এক বুক জ্বালা নিয়ে কাটায় প্রহর,
ঘুম হীন রজনি সঙ্গি হীনতায় বড় বেশি কাতর_____
নতুন সকাল আসে এ ধরনী তলে,বিষাদি রাত হয় ভোর
তবুও অধঁরা.. তোমার অরণ্যের জীবনে রয়ে যায় সেই,
পুড়ানো জীবনের ধারা বাহিকতার ঘোড়_______


নির্জন আহমেদ অরণ‌্য

০৩/০৭/২০০৮ ইং

 

আধাঁরের পথ

আধাঁরের পথ


আধাঁরের পথ ধরে আমি
খুঁজেছি ভালোবাসার নীল জোছ্না,
চলে গেছি দুর থেকে বহু দুরে
বুঝিনি সব ছিলো ছলনা ।


যে পথটা ছিলো একদিন
ফুলে ফুলে ঢাঁকা,
ফিরতি পথে দেখি আজ
কাঁটায় কাঁটায় ভরা ।


ফুল গুলো ঝরে গেছে
আঘাতে আঘাতে ,
ভুল গুলো আজ শুধু
পরছে মনে ।


যে সুখের বারতা একদিন
এসেছিলো জীবনে,
সে বারতা আজ দুঃখের
সারথী হয়ে রয়ে গেছে মনে ।






নির্জন আহমেদ অরণ্য


১৮/০১/২০১০

 

কুহেলিকা

কুহেলিকা


বসন্ত ছুয়ে ছিলো এ মন কোনও এক ক্ষনে
নতুন সাঁজে সেঁজে ছিলো,রঙে রঙে হৃদয়ের আঙ্গন,
এসে ছিলো কুহেলিকা এক সাঁজ প্রহরে
বেধেঁ ছিলাম নীড় এ বুকে, তারই অবগাহনে__
এক অজানা মোহে বিলিন ছিলাম সেই লগনে
কুহু কুহু রবে ডেকেছিলো কুহেলি মনের আঙ্গিনা জুড়ে,
কতো তিমীর রজনি বহিয়া গেছে সেই সুরে সুরে
তন্দ্রা যেন পথ ভুলে হারিয়েছিলো আপন ঠিকানা___
বিবাগী প্রহর যেন ছেরেছে মনের পরিচিত শহড়
আপন মনে আপনারে লয়ে তাহার তরে সন্ধি করা
কখন যে চলিয়া গেল বসন্ত বালা মনেরও অগোচরে....
কুহেলিকা বাধেঁনি নীড়,অকূলে ফেলে মোরে গেল উড়িয়া...
দেখিতে দেখিতে বরষ ও মাস গেল কাটিয়া.....
তবুও রহিলাম পথ চাহিয়া,আসিলো বর্ষা চলিয়া
আমি আমারে লয়ে রহিলাম আত্মভোলা ।
তারই পর থেকে এসেছিলো বহু বসন্ত বালা,
মনের আঙ্গন জুড়ে সাঁজাতে পারেনি রঙে রঙে,
আসেনিতো কুহেলি মোর আর ফিরিয়া......
হয়তো বেধেঁছে নীড় অন্য কোথাও,আপনারে ভুলিয়া,
রহিলা তুমি মোর মন কাহার পথ চাহিয়া......
বসন্ত গুলো গেল বুঝি মোর বিফলে চলিয়া.....
তবুও রহিলা তুমি মন আপনারে লয়ে আত্মভোলা....




নির্জন আহমেদ অরণ্য
০৪/০১/২০১০ইং
 

বন্ধু

বন্ধু


বন্ধুত্বের তরে বাড়ালাম হাত
বন্ধু ভেবে মেয়ে তোমার পানে,
হাত বাড়িয়ে দিলে তুমিও
বন্ধু হয়ে,বন্ধুত্বের টানে.......
বন্ধুর মতো বন্ধু পেলাম আজি
অনেক দিনের পরে...!
শ্রাবন মেঘে ভেসে এলে,আমার আকাশে
অঝোড় ধারায় ঝড়ো তুমি,সুখের বৃষ্টি হয়ে।
বন্ধু তুমি রবে আমার হৃদয় খানি জুড়ে,
শীত,বরষা ১২ মাসই থাকবো তোমার পাশে।
বন্ধু তোমায় ''তানি'' বলে ডাকবো ভালোবেসে,
একটি নাম তুমিও দিও আমায়,যদি মনে আসে....
বন্ধু তুমি ভালো থেকো,জনম জনম ধরে,
দু্‍:খ যেন না আসে কভু,তোমার সুখের ঘরে....






নির্জন আহমেদ অরণ্য
(কবিতাটি প্রিয় বন্ধু ''তানিশা''এর জন্য লিখা)


০৭-০৮-২০১০ ইং

 

শ্রাবন জলে ভেজা প্রেম

শ্রাবন জলে ভেজা প্রেম


হয়তো হবে দেখা কোনও এক
নির্জন সন্ধায়,আষাঢ়ও লগনে....
শ্রাবন ঝড়ো ঝড়ো , কোনও এক হীমেল প্রহরে
উন্মাদ হাওয়া হয়ে আসিবো আমি ফিরে,
বাতায়ন রেখো তুমি খুলে ।


ভুলোনা প্রিয়ো,ভুলোনা মোরে....
প্রনয়ের সারথী রেখোগো স্মরনে,
আসিবো আমি ফিরিয়া আপনালয়ে....
শ্রাবনও জলে ছলো ছলো রহিবে মোর কেশ
মুছিয়া দিওগো প্রিয় মোর কেশ,তবো আচলে...


জানিগো প্রিয় আমি জানি,
হৃদয়ে তবো হবে বজ্রাঘাত সেই লগনে
আমি চিনিগো তোমায় হে বঙ্গ নারী...
খোপাতে রহিবে তোমার রক্ত করবী ।


বহু দিনের অভিমান তবো করিবো নিরসন,
শ্রাবন জলে ভিজে তোমারে লয়ে...
তবো চরনে বিজলী হয়ে বাজিবে মল,
শ্রাবন জলে ভিজে নয়ন জুগল ছল ছল...
তোমার হাত ধরে আমি ভিজিবো অবিচল ।


শ্রাবন জলে ভিজিয়া তুমি সে কি অপরুপ,
দেখিবো আমি নয়ন ভরিয়া,রহিবো নি:শ্চুপ...
বহু দিনের তৃষা জুড়াবে মোর দু নয়ন
তবেগো মোর অবুজ দু নয়ন করিবে শয়ন...
কতোযে রজনী বিনিদ্র আমি,তোমারি অবগাহন,
আসেনি তন্দ্রা কভু,ছিলো জলে টলো মলো ।


বাধিয়া রেখোগো প্রিয় তবো বক্ষে মোরে,
ভালোবাসা দিয়ে সজতনে তবো মনো মন্দিরে...
ভুলোনা প্রিয় ,কভু ভুলোনা মোরে,
ভালোবাসিগো প্রিয় বড়ো বেশি তরে....




নির্জন আহমেদ অরণ্য
১৮/০৩/২০১০ ইং
 

জীবনের ঠিকানা

জীবনের ঠিকানা


সময় চলে গেছে অনেক সময়ের নিয়মে
আমি পরে আছি নিছক জীবন ধাঁধার ফাঁদে...
যা হাড়িয়েছি তা আর পাবোনা ফিরে
এই ভেবে মন আজ শুধু অঝোড়ে কাঁদে...


এলো মেলো মনে হয় সবই , দুচোখের সিমানায়
ভুলে জড়ানো কিছু কথা মনেতে উঁকি দিয়ে যায়...
হাড়ানোর ছিলোনা যা,হাড়িয়েছি তা অবলিলায়
পেয়েছি অনেক কিছুই যা ছিলোনা কখনো চাওয়ায়...


মনে পরে সেই প্রথম প্রেমের প্রথম আলিঙ্গন
আশা,ভালোবাসায় পূর্ন প্রিয়তমার দু নয়ন...
মনে পরে সেই শ্রাবন জলে ভেঁজা আবেগী দুপুর
বৃষ্টির ছন্দে নেঁচেছিলো তোমার পায়ের জড়ানো নূপূর...


জানি সেই আবেগী দুপুর কখনো আসবেনা ফিরে আর
বাজবেনা সেই নূপূর হৃদয়ের অরণ্যে কখনো আর...
পাশে বসে হাতে রেখে হাত বলবেনা কথা কেহ আর
আমার বিহনে কারো চোখে কখনো আসবেনা জল আর...


হৃদয়ের কেনভাসে জীবনের ছবি কেহ আর আঁকবেনা
ভালোবাসার তাড়নায় হাত ধরে কেহ কাছে আর টানবেনা...
তুমি হীনা বেঁচে আছি,দেখে যেও একদিন ওগো সুরন্জনা
সুখ নেই জীবনে তাতে কি?বেদনাই না হয় জীবনের ঠিকানা...





নির্জন আহমেদ অরণ্য


১৬-০৬-২০১০ ইং
 

তুমি আসবে বলে

তুমি আসবে বলে


সেদিন তুমি আসবে বলে আকাশে জমেছিলো মেঘ মালা ,
বাতাসে ছিলো তোমার আগমনি বার্তা...
মাতাল দুষ্ট কিছু হাওয়া কাশ বনে দিয়েছিলো দোলা
তুমি আসবে বলে ফুলের বনে গুনগুনিয়ে ছিলো ভোমরা ।
হৃদয়ের আঙ্গন জুড়ে একেছিলাম রঙে রঙে আল্পনা
তুমি আসবে বলে মনে মনে গড়েছিলাম কতোযে কল্পনা.....
ফিরিতেছিলো আপন নীরে ধবল বলাকারা
ক্লান্ত সূর্যটাও ঢলিয়া পরিতেছিলো অবলিলায়,
তুমি আসবে বলে লজ্জায় লজ্জাবতি লাজুক লতা...
গোধুলি জুড়ে আবির রঙের লুকুচুরি খেলা ।
তুমি আসবে বলে পৃথিবী আজ অপরুপা
তটনির বুকে এক মহাকালের নিরবতা.....


অবশেষে তুমি এলে,অপেক্ষার আড়শি ভেঙ্গে
পৃথিবীর যতো অপরুপ মলিন করে,
লাজুক তটনিতে নেমেছিলো স্বন্ধার আঁধার
তারপরে শুরু হয়েছিলো আমাদের ভালোবাসার অভিসার ।








নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

স্বপ্ন

স্বপ্ন


আমি স্বপ্ন দেখি বলে তোমাকেও স্বপ্ন দেখাই,
আমি ভালোবাসি তোমায় তাই ফিরে আসি বার বার.
এইতো সে দিন আমি দু হাত ভরে ভালোবাসা নিয়ে এসেছিলাম,
বহু দিনের তৃষিত হৃদয় নিয়ে,তোমার ভালোবাসার জলে ভিজঁবো বলে....
বুক ভরা বেদনা আর শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলে আমায় ।
আমি স্বপ্ন দেখি বলে তোমাকেও স্বপ্ন দেখাই,
আমি ভালোবাসি তোমায় তাই ফিরে আসি বার বার..
আমি ভালোবেসে ফোটাতে চেয়েছিলাম হাসনাহেনা
হৃদয়ে তোমার,তুমি বোঝনি তা কোনও দিন,
আমি শ্রাবন জলে ভিজেঁ কদম নিয়ে হাতে
দাড়িয়ে ছিলাম পথে কতোদিন,
তুমি দেখেও দেখনি কখনো চোখ ফিরিয়ে আমায়
ক্লান্ত পায়ে আমি ধিরে ধিরে ফিরে এসেছি কতোবার ।
আমি স্বপ্ন দেখি বলে তোমাকেও স্বপ্ন দেখাই,
আমি ভালোবাসি তোমায় তাই ফিরে আসি বার বার...
আমি সমুদ্র দেখেছি বহু বার,কখনো ছুঁয়ে দেখিনি নোনা জল নোনা জল যদি আরো নোনা হয়ে যায়,
আমার চোখের জলের সাথে হয়ে একাকার...
আমি এক মুঠু সুখের খোঁজে,হেটেছি পথে পথে,
চলে গেছি দুর থেকে বহুদুরে, কই সুখতো কোথাও পাইনি আমি.
তাই সব কিছু ফেলে এসেছি তোমার কাছে সুখ পাবো বলে...
আমি স্বপ্ন দেখি বলে তোমাকেও স্বপ্ন দেখাই,
আমি ভালোবাসি তোমায় তাই ফিরে আসি বার বার....
মাঘের কনকনে শীতে পাখি ডাকা ভোরে তোমার জন্যে
কুড়িয়ে এনেছিলাম শিশির ভেঁজা শিউলি ফুল খুজে...
সে ফুল শুকিয়েছিলো রোদে,তুমি ছুঁয়ে দেখনি,
বুক ভরা কষ্ট নিয়ে সে ফুল আজও রেখেছি যতনে তুলে
কোনও দিন যদি তুমি খুঁজতে আসো সে ফুল কোনও ভুলে...
আমি স্বপ্ন দেখি বলে তোমাকেও স্বপ্ন দেখাই,
আমি ভালোবাসি তোমায় তাই ফিরে আসি বার বার....




নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

যদি তুমি বলো

যদি তুমি বলো


যদি তুমি বলো রুপালী চাঁদ এনে দিতে ,
আমি পারবোনা তা কখনো এনে দিতে....
যদি বলো বিশ্ব সংসার তন্য তন্য করে -
১০৮ টা নীল পদ্ম এনে দিতে ,
সত‌্য বলছি আমি তোমাকে তাও এনে দিতে পারবোনা....
দু হাত পেতে যদি কখনো সমুদ্রের নোনা জল খুঁজো ,
আমি সমুদ্র তো দেখেছি বহু বার,কখনো ছুয়ে দেখিনি তার জল
আমি কি করে এনে দেবো সেই নোনা জল তোমার হাতে তুলে ?
আমি পারবোনা তোমাকে কখনো দিতে এক মুঠো সুখ
আমার এই বেদনা শিক্ত জীবন থেকে......তবে,
আমি সামান্য কিছু দিতে পারি তোমায়,স্বার্থ হীন ভাবে,
আমি দিতে পারি তোমায় হাজাড়ও রাত্রি জাগা -
তেলের প্রদ্বীপ হতে কিছুটা কাজল তুলে....
তোমার অপরুপ চোখের কার্নিশে রাখবে বলে.....
আমি তোমার চরন দুটি রাঙাতে পারি ,
ভোরের শিশির ভেঁজা শিউলি ফুলে ফুলে....
আমি শ্রাবন দিনের প্রথম কদম হাতে তোমার তরে,
অপেক্ষা করতে পারি শ্রাবন জলে ভিঁজে ভিঁজে.....
যদি কখনো কোনো ভুলে,তোমার চোখের কোনে-
জল চলে আসে বেদনার ছলে,
মিথ্যে স্বান্তনা দেবো ,একথা ভেবোনা কভু.....
স্বার্থহীন ভাবে আমিও ঝড়াতে পারি দু ফোঁটা জল-
তোমার বেদনায় সমোবেথীত হয়ে........






নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

একটা নির্ঘূম রাত এবং তুমি

একটা নির্ঘূম রাত এবং তুমি


স্মৃতির জানালা খুলে জেগে আছে নির্ঘূম দুটি চোখ,
মনে পরে আজও হৃদয়ে ফ্রেমে জড়ানো সেই প্রিয় মুখ....
স্মৃতিগুলো হাতছানি দিয়ে ডাকে, গাঁয়ে জড়ানো কষ্টের নীল চাদর
কতো দিন হয়ে গেলো পাইনি অনুভবে বন্ধু তোমার আদর........


এলোমেলো কতোকিছু ভেবে কেটে যায় আমার প্রহর,
তন্দ্রা আসেনা কভু,তুমিহীনা তৃষিত হৃদয় বড়ো বেশি কাতর..
বেলা শেষে পাখি ফিরে যায় আপন নীরে,
আমি কেনো একা এতো মানুষের ভিরে ?


ভিজে যায় চোখের কোন, হাড়ানো দিন গুলো ভেবে,
আজও দ্বাড় খুলে বসে থাকি,জানিনা তুমি ফিরবে কবে...
একদিন হৃদয়ের অরণ্য ছিলো সবুজ ঘাসে ঘাসে ঢেঁকে,
আজ সেখানে তপ্ত মরু,মরিচিকা হয়ে তোমার মুখছ্ছবি ভাসে...


আমি চাইনা আর এই ভুলে ভরা জীবন,
আমি চাইনা আরেকটা নতুন নির্ঘূম রাত....
আমি ঘুমোতে চাই অবুজ শিশুর মতো,
আমি চাই একটা নির্মল সোনালী প্রভাত.......






নির্জন আহমেদ অরণ্য

 

আজি প্রথম শ্রাবনো ক্ষনো

আজি প্রথম শ্রাবনো ক্ষনো


আজি আষাঢ় শ্রাবনো ঝড়ো ঝড়ো লগনো
আঁধার কালো মেঘো মাল‌্য ভ্রাম্য গগনো,
রিমি ঝিমি বরিষনে বিজলী ধ্বনি ঘনো ঘনো
এমনি পরিসরে আজি উতলা মনো মন্দিরো ।


ভিরু ভিরু চরনে এসেছিনু মল্লিকা বনে
শ্রাবনো জলে স্নান করিবো মনেরো হরোষে,
কদমো ঝড়া সৌরভে সুরভিতো বাতাসও
শ্রাবনের জলে ভিজিলো মোর সর্বাঙ্গ ।


মুষল ধারায় ঝড়িতেছে বারি
আজি প্রথমো শ্রাবনো ক্ষনো,
ঝড়ো হাওয়ায় দুলিতেছে এক স্বন্ধ্যা মালতি
ভেবেছিনু দোলনায় দুলিতেছে বুঝি মেঘেরো রানি ।


হিজল তলার ঘাটে আজি একি অপরুপ
দিঘিরো জলে ণৃত্য রতো বুঝি বর্ষা কুমারী,
বৃষ্টির ছন্দে ণূপুরে সেকি রিমি ঝিমি ধ্বনি
আ:হা আজি জুড়াইলো বুঝি মোর কর্ণযুগল,সার্থক এই রজনি ।


সার্থক জন্ম মোর জন্মেছিনু এই বঙ্গে
সার্থক শৈশব মোর,লুটায়ে জড়ায়েছিনু ধুলি মোর অঙ্গে,
দেখেছি রুপেরো বাহার দু নয়ন ভরিয়া
স্বাধ নাহি মোর অপরুপ দেখিবার পৃথিবী ঘুরিয়া ।


মোর কুন্জে যদিগো আসে মৃত্যু দ্যূত কভু
আসেগো যেনো মেঘেরো পালকি চড়িয়া প্রভু,
মিনতি করি সদা বিধাঁতার তরে
শেষ স্নান যেনো হয় মোর শ্রাবনের জলে ।






নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অধঁরা এবং বিধাতার মৃত্যু

অধঁরা এবং বিধাতার মৃত্যু


এই দোতলা ঘরের জানালাহীন কামড়াঁটি আমার,
এখানেই আমার বসবাস...
এই ঘরেই প্রতিদিন আমার মৃত্যু হয় ।
এলো মেলো অগোছালো একটি কামড়াঁ
ঠিক আমারই মতো অনেকটা শূন্য .......
এই অরণ্যের জীবনে এখন যেমন আর কেউ নেই ,তেমনি
এই ঘরটিকে আদরে যত্ন করে সাঁজানো গুছানোর কেউ নেই,
অধঁরা ,তোমার অরণ্যের হৃদয়টা যেমন শূন্য এখন
তেমনি এই ঘরের দেয়ালে আঁটানো প্রতিটা ফ্রেমও শূন্য ।




অধঁরা... এই ঘরেই আমার মৃত্যু হয় প্রতিদিন
এই মরন খেলা খেলতে খেলতে এখন আমি ক্লান্ত.....
তবুও এই খেলার কোন শেষ নেই
যেমনি বিধাতার কোন মৃত্যু নেই...............।
আমার মৃত্যু হয় তোমার ভালোবাসায়.
আমার মৃত্যু হয় তোমাকে হাড়ানোর বেদনায়..
আমার মৃত্যু হয় তোমার দেয়া ৯০৫ টা চিঠির অতলে...
আমার মৃত্যু হয় নির্ঘূম রাতে হাড়ানো স্মৃতির পটে....
তবুও দেখ অধঁরা..........
আমার এই মৃত্যুর কোন শেষ নেই
যেমনি বিধাতার কোন মৃত্যু নেই............।


তোমাকে পেয়ে হাড়ানোর কষ্ট যে কতোটা কঠিন
আমি ছাড়া কেউ জানবেনা কোনও দিন ।
শুধু আমিই জানি...
তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা যায়না অধঁরা.....
তোমার অরণ্যের শুষ্ক নয়ন জোঁড়া
এখনো দরজার পানে চেয়ে থাকে তোমার অপেক্ষায়...
এভাবেই অধঁরা....
এই ঘরে আমার মৃত্যু হয় প্রতিদিন ....
আমি আবার জন্ম নেই তোমার ভালোবাসায়....
আমার মৃত্যুর কোনও শেষ নেই
যেমনি বিধাতার কোনও মৃত্যু নেই...........।


আমি জানি অধঁরা হয়তো,
আমার এই পাঁজড় ভাঙ্গা আর্তনাদ
তোমার কর্নযুগল এখন আর স্পর্ষ করবেনা ....
তবুও আমি এখনো তোমার পথ চেয়ে থাকি,
যেভাবে চাতক মেঘের প্রতিক্ষায় থাকে......
সেভাবেই আমি ভাগ্যের দুয়ারে দুমরে পরি প্রতিদিন
তোমাকে ফিরে পাওয়ার আকাঙ্খায়......
অধঁরা.............
এভাবেই আমার মৃত্যু হয় প্রতিদিন
এ খেলা চলে দিনের পর দিন ,রাতের পর রাত
তবুও বিধাতার কোনও মৃত্যু নেই
এ খেলারও কোনও শেষ নেই...............






নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

অধঁরা এবং সমুদ্র

অধঁরা এবং সমুদ্র


অধঁরা কেমন আছ...?
জানিনা তোমাকে কেন যে আজ এত মনে পরছে...
তোমার কথা ভেবে ভেবে নির্ঘূম রাত করেছি ভোর...
তবুও যেন তোমায় নিয়ে ভাবার কোনও শেষ নেই ।


মন কিছুতেই মানেনা, যে অধঁরা আমায় একা করে গেলো,
আজন্ম সাঁজা প্রাপ্ত আসামীর মতো ...
আজীবনের শূন্যতা উপহাড় দিয়ে,
সে কি আর ফেরবে................?


নদীর মতো হৃদয়ের দু কূল ভেঙ্গে দিয়ে ___
সুখের খোঁজে সমুদ্রের অতলে হাড়ালো যে অধঁরা..
সাগড়ের উন্মাদ জোয়ারে ভাসবে বলে...
তার কি এই শান্ত নিথর নদীর কথা মনে পরে......?


ভয় হয় অধঁরা আজ তোমাকে নিয়তির কাছে ফিরে চাইতে,
কি আছে এই বিত্তহীন ভাঙ্গা চুরা অরণ্যের কাছে....?
এক বুক নিভৃত ভালোবাসা ছারা,
যে তোমাকে সুখি করার স্বপ্ন দেখে দুচোখ ভরে....।


হয়তো আমি সমুদ্রের মতো বিশাল নই
আকাশের মতো অসীম নয় আমার স্বপ্ন....
কিন্তু আমার হৃদয়ে তোমার জন্য যে,অসীম ভালোবাসা,
তা ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে,সমুদ্রের গর্জনের মতোই......।






নির্জন আহমেদ অরণ্য
 

বলার ছিলো অনেক কিছুই

বলার ছিলো অনেক কিছুই

নির্জন আহমেদ অরণ্য

বলার ছিলো অনেক কিছুই...বলতে পারিনা...
অনেক কিছুই দেখতে পারি সইতে পারিনা...
মুখ খুলতে গেলেই অনেক বাধা...
কিছুই করতে পারিনা......
এই দেশেতে থাকতে গেলে...
অন্ধ কানুন মানতে হবে...
এই কথাটাই মানতে পারিনা...
অনেক কিছুই বলার ছিলো ...বলতে পারিনা...
মিটিং নমের সেটিং চলে....
সব যায়গাতেই ভাই....
কোন দেশেতে গেলে বলো...
শান্তি আমি পাই..........?